সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : তিনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। দেশের আইন অনুযায়ী তিনি দোষী। কিন্তু তাঁর সামাজিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিচারক তাঁর শাস্তি মুকুব করেছেন। শুক্রবার কুনাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় রায় ঘোষনা করলেন বিধায়ক/সাংসদদের জন্য গঠিত আদালতের বিচারক মনজ্যোতি ভট্টাচার্য।
২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে জেলবন্দী অবস্থায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে প্রাক্তণ তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক কুনাল ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টার মামলা করা হয়। এদিন দীর্ঘ শুনানির শেষে সেই মামলাতেই রায়দান করলেন এমএলএ, এমপি-দের জন্য গঠিত আদালত। রায়দান করার সময় বিচারপতি মনজ্যোতি ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন বিভিন্ন সাক্ষ্যপ্রমাণ ও মেডিকেল নথি থেকে এটা প্রমাণিত কুনাল ঘোষ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। আইন অনুযায়ী তাঁর শাস্তি হওয়া উচিৎ। কিন্তু আদালত তাঁর (কুনাল ঘোষের) সামাজিক অবস্থানের কথা বিচার করে তাঁকে কোনো শাস্তি দিচ্ছে না। বিচারক বলেন, “আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ওকে শাস্তি দেব না। শুধু বলব, এই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। আপনি যে লড়াই করছেন, করুন। যত অবসাদই হোক, আত্মহত্যায় সমস্যার সমাধান হয় না। আপনি বিশিষ্ট সাংবাদিক। প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। আপনার কাছ থেকে সমাজ অনেক কিছু আশা করে। আপনি মামলা আইনে লড়ুন এবং কাজ চালিয়ে যান।” দোষী সাব্যস্ত হলেও শাস্তি প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, “আত্মহত্যা করবেন না। তিরস্কারটাই আপনার শাস্তি।” কুনাল ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি জেল কর্তৃপক্ষের ভুমিকারও কড়া সমালোচনা করেন বিচারক মনজ্যোতি ভট্টাচার্য। তাঁর রায়ের অর্ডারে জেল ও পুলিশের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
কুণাল ঘোষের লাইফ রিস্ক ছিল। খুন হতে পারতেন। যথাযথ নিরাপত্তা ছিল না। বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারক মনজ্যোতি ভট্টাচার্য।