সোমদত্তা বসু, নিউজ ডেস্ক : মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার দেশের আম জনতা। ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে এবার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পেট্রোল, ডিজেলের এক্সাইজ ডিউটি কমানোর পর এবার কমানো হতে পারে ভোজ্যতেলের দাম। চিনির দামে লাগাম টানতে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বছরে ২০ লক্ষ টন করে সয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেল আমদানি করা যাবে। তার জন্য আমদানি শুল্ক এবং কৃষি পরিকাঠামো ও উন্নয়ন সেস দিতে লাগবে না। আগামী ২ বছরের জন্য এই নিয়ম চালু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জেরে খুচরো বাজারে প্রতি লিটারে নূন্যতম ৩ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম। পাশাপাশি ৬ বছরের জন্য চিনি রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে দেশীয় বাজারে চিনির পর্যাপ্ত জোগান থাকায় মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানা সম্ভব হবে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, চিনি রফতানি চলতি ১ জুন থেকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে আমদানি রফতানির স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়েছিল। এর জেরে দাম বাড়তে শুরু করেছিল পাম তেল, সয়াবিন তেল ও সরষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে থাকায় সংসার চালাতে নাভিশ্বাস ওঠে মধ্যবিত্তের। পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে শুল্ক ছাড়ের সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে সুরাহা হবে সাধারণ মানুষের এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।