কলকাতায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের কর্মসুচি শেষ। দুদিনের সফরে কলকাতার মানুষের মন জিতে নিয়েছেন এমি। যদিও তার আসা নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।এলেন দেখলেন জয় করলেন। কলকাতায় এসে এমনই অভিজ্ঞতা হল আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের। শহরের যেখানেই গেছেন, সেখানেই কলকাতাবাসির উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন 30 বছর বয়সি এই বস্টন ভিলার গোলরক্ষক। মাত্র 48 ঘন্টাতেই বুঝে গেছেন ফুটবল যেমন স্রেফ খেলা নয়, একটা আবেগ। তেমন কলকাতার মানুষও ভিষণই আবেগ প্রবণ। কোনও কিছুতেই বাঁধা মানেননা তাঁরা। আর কথা যদি হয় ফুটবলের, তাও ব্রাজিল আর্জেন্তিনা, তাহলে তো কোনও প্রশ্নই নেই। এমির মনে হয়ত চিরকালই থাকবে কলকাতাবাসির স্মৃতি। সেই কারণেই নিজেকে চেপে রাখতে না পেরেই বলেই দিয়েছেন, একদিন তিনি ফিরবেন কলকাতায় মেসিকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ খেলতে। যদিও এমির কলকাতা সফর প্রশ্ন তুলে দিল অনেকগুলি। মাত্র 1 বছর আগে কলকাতায় ঘটে যাওয়া কেকের মৃত্যুর ঘটনাতেও যে অনেক আয়োজকদেরই টনক নড়েনি। কারণ মিলন মেলা হোক বা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, আয়োজকদের মধ্যে গাছাড়া মনোভাব এবং নিরাপত্তার অভাব দেখা গেল। যা ভয়ঙ্কর হতে পারত। মিলন মেলায় জানা যায় দর্শকদের চাপে ভেঙেছে এমির গাড়ির কাঁচ। দর্শকরা টাকা দিয়েও পাননি সই করা জার্সি। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারেও এমির সঙ্গে স্টেজে যে হারে লোক উঠল তাতে বোঝা গেল না এটা কোনও গ্রামের চটুল নৃত্যের আসর না বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের স্টেজ। কলকাতার মানুষ আবেগি, কিন্তু তাদের আবেগকে শৃঙ্খলায় আনার কাজ তো আয়োজকদেরই। কিন্তু বহুক্ষেত্রেই দেখা গেল গাফিলতির চিত্র। এবারের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো গেল। কিন্তু বারংবার একইভুল করতে ফল হতে পারে মারাত্মক। এবারের মতো আবেগি সমর্থকরাই কলকাতার মান বাঁচিয়ে দিল। অন্তত বাংলার অগনিত আর্জেন্তাইন সমর্থকদের দেওয়া ভালোবালায় মোড়া স্মৃতি নিয়েই বুয়েনাস আইরেস ফিরবেন মেসির সতীর্থ মার্তিনেজ।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.