সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: ৪২ দিন পর কাজে ফিরলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এমার্জেন্সি বিভাগে রোগী দেখছেন এতদিন ধরে আন্দোলন করে চলা সেই সমস্ত চিকিৎসকরা যাদের হাত ধরেই হয়তো জন্ম হলো এক অন্য কলকাতার এক নতুন কলকাতার তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এবার কি ধীরে ধীরে উৎসবের মেজাজে ফিরবে শহর তিলোত্তমাও?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যবাসীকে উৎসবে ফেরার জন্য পুজোয় ফেরার জন্য তার সেই বক্তব্য নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। সাধারণ মানুষ বলেছেন বারবার বিচার না পেলে তারা কেউ উৎসবে ফিরবেন না পুজোয় ফিরবেন না। এবং বাস্তবিকভাবেই দেখা গেছে তাদের সেই বক্তব্যই সত্যি হয়েছে পুজোর আগে শপিং করার সেই চেনা ভিড় নেই কিংবা গড়িয়াহাটে এমনকি পুজোর আগে গোটা শহর যেখানে ব্যানারে হোর্ডিংয়ে ছেয়ে যায় সেটাও এবার সেই ভাবে নেই।
৯ আগস্টের পর থেকে লাগাতার শহর কলকাতা নেমেছে প্রতিবাদে। কখনও রাত দখল হয়েছে তো কখনও অবরুদ্ধ হয়েছে ধর্মতলার মোড়। আবার কখনও রিকশা চালকরা পথে নেমেছেন তো কখনো আবার প্রতিবন্ধীরা সবমিলিয়ে এই ৪২ দিনে যে কলকাতার জন্ম হয়েছে সেই কলকাতা হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করতে জানে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এবার কি কলকাতা পুজোর আমেজে মেতে উঠবে? নাকি শহর কলকাতা নিজের দাবিতেই অনড় থাকবে বিচার না পেলে কোন উৎসব হবে না? উত্তর দেবে অক্টোবর মাস।