সেই জানুয়ারী মাসে প্রধানমন্ত্রী কে চিঠি দিয়ে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে মান্যতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিনে সেই দাবি স্বীকৃতি পেল কেন্দ্রের কাছে। দেবীপক্ষের প্রথমাতেই এল সুখবর। এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে সেই সুখবর জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সঞ্জু সুর নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- এবছর জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দুই পাতার একটি চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে তিনি কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেন যে বাংলা ভাষাকে যেন ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়। নিজের দাবির স্বপক্ষে তিনি চিঠির সঙ্গে চার খন্ডের একটি দলিলও তুলে দেন।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বাংলা ভাষার জন্ম ও বিবর্তন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বছরের পুরনো। এই প্রাচীন ভাষা সরকারের স্বীকৃতির যোগ্য। রাজ্য সরকার সরকারি আধিকারিক সহ বিশিষ্ট জনদের নিয়ে একটি গবেষণা পত্র তৈরি করেছে। সেই হিসাবে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া উচিত।
মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠির পর কেটে গিয়েছে প্রায় নয় মাস। অবশেষে পাওয়া গিয়েছে স্বীকৃতি। বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র সরকার ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আমি অত্যন্ত খুশি যে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে আর তাও পবিত্র দূর্গা পূজার সময়েই।
বাংলা সাহিত্য অসংখ্য মানুষকে বছরের পর বছর ধরে অনুপ্রাণিত করে আসছে। এই উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে সকল বাংলা ভাষাভাষী-কে অভিনন্দন জানাই।” আনন্দিত মুখ্যমন্ত্রীও এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে ভারত সরকার একটি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। অনেকদিন ধরে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে এই সংক্রান্ত গবেষণালব্ধ বিপুল তথ্য জমা দিয়ে দাবি করছিলাম যাতে বাংলা ভাষাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আজ আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। কেন্দ্রীয় সরকার আজ সন্ধ্যায় আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। অন্য কয়েকটি রাজ্যের ভাষা আগে এই স্বীকৃতি পেলেও বাংলাকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল। ভালো লাগছে, আমাদের লড়াইয়ে অবশেষে বাংলা ভাষা এই অভিপ্রেত এবং ন্যায্য স্বীকৃতি পেল।” প্রসঙ্গত সাহিত্য একাডেমীর নিয়ন্ত্রণাধীন Linguistics Expert Committee গত জুলাই মাসে বাংলা সহ মোট পাঁচটি ভাষাকে সর্বসম্মতিক্রমে এই স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।