জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন এর প্রেক্ষিতে সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে গণইস্তফা দিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বেশকিছু চিকিৎসক। তবে সেই ইস্তফাকে ইস্তফাপত্র হিসাবে মান্যতা দিতে রাজি নয় নবান্ন।
সঞ্জু সুর নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবির স্বপক্ষে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বেশকিছু সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন। এই ইস্তফা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে মনে করছে নবান্ন। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি জানান, আর জি কর, সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, এসএসকেএম সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের যেসব চিকিৎসক গণ ইস্তফা দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটির কোনো আইনি বৈধতা নেই। আলাপন বাবুর বক্তব্য, সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। এইভাবে একটি পাতায় চিঠি লিখে পরের পাতায় কিছু সহি করলে সেটা ইস্তফা পত্র হিসাবে গ্রাহ্য হয় না। নিয়োগকর্তার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা দিতে হয়। তাছাড়া প্রায় দুই শতাধিক সহি সম্বলিত যে কটি ইস্তফাপত্র এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়েছে সেখানে কয়েকজনের নামের পাশে তিনি কোন বিভাগে আছেন সেটা জানানো হয়েছে, বাকিদের ক্ষেত্রে সেটাও লেখা হয় নি। অর্থাৎ ইস্তফা দেওয়া চিকিৎসকদের অনেকেরই কোনো ডেজিগনেশন লেখা নেই। তিনি আরও বলেন, সরকারি সার্ভিস রুল অনুযায়ী এটা কোনো ইস্তফা পত্র নয়।এটাকে একটা সাময়িক পত্র বা চিঠি হিসাবে দেখা যেতে পারে মাত্র।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর এই প্রেস কনফারেন্স এর মাধ্যমে সরকার এটা স্পষ্ট করে দিলো যে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেওয়া গণইস্তফা কে তারা মান্যতা দিচ্ছে না। এখন গণইস্তফা দেওয়া চিকিৎসকরা এই বিষয়ে তাঁদের পরবর্তী কি সিদ্ধান্ত নেন, তার উপরেই নির্ভর করছে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ।