নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : ফের হামলা ইজরায়েলে। এবার হামলা করা হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাড়ির একালায়। ইজরায়েলের সিজারিয়ায় ড্রোন হামলা হেজবোল্লার! ইজরায়েলের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, শনিবার সকালে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় সিজোরিয়া এলাকায়। এখানেই রয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। যা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়াছে ইজরায়েলে। ইজরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে , লেবানন থেকে লঞ্চ করা হয়েছিল এই ড্রোন। যা একটি বাড়িতে আছড়ে পড়ে।
যদিও এই হামলায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। জেরুজালেন পোস্ট সূত্রের খবর, সিজোরিয়ায় এই ড্রোন হামলার পর তেল আবিবে সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। আর এই ড্রোণ হামলা নয়া মোড় নিল মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহালের। গত একবছরের বেশি সময় ধরে চলছে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ। যাএখন মোড় ঘুরেছে ইরান ও লেবাননের দিকে। হামলা ও পালটা হামলায় রক্তাক্ত মধ্যপ্রাচ্য। এই যুদ্ধ থামাতে দুটি শর্ত দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর।তিনি এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেন- ‘যুদ্ধ আগামিকালই শেষ হয়ে যেতে পারে। যদি হামাস তাদের অস্ত্র নামিয়ে রাখে এবং আমাদের পণবন্দিদের ফিরিয়ে দেয়।’ তবে অন্যদিকে সিনওয়ার মৃত্যুতে হামাস ও হেজবোল্লা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ‘যুদ্ধের নতুন অধ্যায় শুরু হবে।’ তাই কূটনৈতিক মহলের দাবি, নেতানিয়াহুর বাড়িতে এই হামলা চালিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের নব সূচনা করা হল। সেই নতুন অধ্যায়ের। এই হামলার ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে এখনই যুদ্ধের বিরাম নয়, বরং আরও রক্ত স্রোত বইতে পারে বলে অনুমান।
ইজরায়েলে নতুন করে এই ড্রোন হামলা নিয়ে ইহুদি সেনা আইডিএফের দাবি, মোট ৩টি ড্রোন ছোড়া হয়েছিল। যার মধ্যে একটি বিস্ফোরণ ঘটায়। বাকি দুটি আকাশেই নষ্ট করে দেওয়া হয়। এর পর পরই ইজরায়েলের গিলোট সেনা ক্যাম্পে বেজে ওঠে সাইরেন। যদিও সেনার দাবি, সেনা ক্যাম্পে কোনওরকম হামলার ঘটনা ঘটেনি। সেখানে সবাই সুরক্ষিত।