কে বলে বাংলার ছেলেমেয়েরা আর আগেকার মত খেলাধূলা করে না! নিন্দুকদের সেই কথার জবাব দিয়ে বাংলা থেকে শুটিংয়ের নয়া দিশারি বছর ১৪-র স্বস্তিকা সরকার। এইটুকু বয়সেই জাতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন সে।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: বয়স মাত্র ১৪ হলে কি হবে! এই বয়সেই মাত্র স্বস্তিকা জাতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখনই সোনায় মোড়া কেরিয়ার গ্রাফ! সিবিএসই জাতীয় প্রতিযোগিতায় সারা দেশের মধ্যে সোনা জিতে বাংলার মুখোজ্জ্বল করেছে বাংলারই কন্যা স্বস্তিকা। তার কোচের ভূমিকা এই ক্ষেত্রে নি:সন্দেহে অনস্বীকার্য।
কোচ জয়দীপ কর্মকারের কাছে প্রশিক্ষণ নেয় স্বস্তিকা। এই ফলের পরে নিজের ছাত্রীকে নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী তিনি। তিনি জানাচ্ছেন স্বস্তিকার মধ্যে এই বয়সেই যা দক্ষতা রয়েছে তাতে করে আগামী দিনে সে আরও অনেক এগিয়ে যাবে। তার মধ্যে পরিশ্রম করার যে দক্ষতা, শেখার যে আগ্রহ তাতে আগামী দিনে আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে বলে আশাবাদী স্বস্তিকার কোচ জয়দীপ কর্মকার।
সারা দেশে সমস্ত সিবিএসই স্কুলগুলির থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। আর সেখানেই বয়সভিত্তিক বিভাগে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতেছে স্বস্তিকা। ৪০০-র মধ্যে ৩৯৯ স্কোর করেছে সে। আর এই ফলের জেরেই স্বস্তিকার নামের পাশে আজ জাতীয় চ্যাম্পিয়নের তকমা।
তবে এটাই কিন্তু প্রথম বার নয়। আরও এক কীর্তি এই মুহুর্তে স্বস্তিকার ঝুলিতে।রাজ্য প্রতিযোগিতায় ৪০০র মধ্যে ৪০০ই স্কোর করেছে স্বস্তিকা, প্রথম মহিলা শুটার হিসাবে। এই মুহুর্তে রাজ্য স্তরে যুব, জুনিয়র ও সিনিয়র, তিনটি বিভাগেই রেকর্ড করে ফেলেছে স্বস্তিকা।
এই মুহুর্তে তার কোচের নজর রয়েছে দু’মাস পরে হতে চলা জাতীয় প্রতিযোগিতার দিকে। সেখানেও স্বস্তিকার এরকমই চোখ ধাধানো ফল নিয়ে আশাবাদী তিনি। মাত্র ১১ বছর বয়সে স্বস্তিকা তার অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়। প্রথম থেকেই শুটিংয়ে ভীষণ আগ্রহ ছিল স্বস্তিকার যদিও সেই সময় স্বস্তিকা খুব চঞ্চল ছিল। ধীরে ধীরে ওর আগ্রহ আরও বাড়ে। এই বয়সেও স্বস্তিকা খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। আরও অনেক দূর এগোক বাংলার মেয়ে স্বস্তিকা সেটাই চাইছেন সকলে।