রাজ্যের পর্যটন শিল্পের মানচিত্রে হোম স্টে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবার নেট মাধ্যমে এক ক্লিকের মাধ্যমে সেই সব হোম স্টে-র যাবতীয় তথ্য হাতের কাছেই পাবেন পর্যটকরা। সোমবার বিধানসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। আসলে ভ্রমণ প্রিয় বাঙালির কাছে ঘোরাটা একটা প্যাশন এবং ফ্যাশন ও বটে। আর ঘুরতে যাওয়ার আগে বাঙালি যেটা খোঁজ করেন সেটা হলো ঘুরতে গিয়ে থাকবো কোথায় ! বেসরকারি হোটেলের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্যটন দফতরের ও প্রচুর হোটেল রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন স্থলে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর হোম স্টে। এবার সেই হোম স্টে গুলোর সব তথ্য এক জায়গায় আনার কাজ শুরু করেছে রাজ্য পর্যটন দফতর।
সোমবার রাজ্য বিধানসভায় লালগোলার তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ আলির এক প্রশ্নের উত্তরে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান, “রাজ্যের হোম স্টে গুলোর বিস্তারিত তথ্য আগামি অর্থ বর্ষ থেকে পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।” মন্ত্রী জানান সরকারি রেজিস্ট্রিকৃত সব হোম স্টে-র সব তথ্যই এক ক্লিকে পাওয়া যাবে।
রাজ্যে ২০১১ সালের পর থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে হোম স্টে কালচার ক্রমশঃ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে। এই বিষয়ে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন পরে তথ্য দিয়ে জানান রাজ্যে রেজিস্ট্রিকৃত হোম স্টে-র সংখ্যা ৫,৩২৪ টি। এরমধ্যে পর্যটন দফতরের স্বীকৃতি প্রাপ্ত হোম স্টে ২,৫৩২ টি। এছাড়া উত্তরবঙ্গের হোম স্টে ১,৯১০ টি যার মধ্যে শুধু পাহাড় এলাকায় রয়েছে ১,৬৬০ টি। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলাতেও এখন প্রচুর মানুষ ঘুরতে যান। সেই জঙ্গলমহলে এমন হোম স্টে-র সংখ্যা ২৩৪ টি। এমনকি এই শহর কলকাতাতেও হোম স্টে কালচার ক্রমশঃ জনপ্রিয় হচ্ছে। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই শহরে এই মুহূর্তে এমন হোম স্টে রয়েছে ৮ টি।
এদিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, “এ’বছর (২০২৪/২৫) এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১৮ কোটি পর্যটক এসেছেন।” বিজেপির বিধায়ক নরহরি মাহাতোর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “পুরুলিয়া জেলায় অযোধ্যা পাহাড় ছাড়াও বেশকিছু নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সেখানে পর্যটনের জন্য রাজ্য পর্যটন দফতর যা যা করার করছে। এর বাইরে যদি আপনার (বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতো) নতুন কোনো প্রস্তাব থাকে তাহলে অবশ্যই তা বিবেচনা করে দেখা হবে।