নৃত্যশিল্পে পারদর্শী হয়েও সুযোগ পান না বড় মঞ্চে। গ্রাম বাংলার বিভিন্ন জায়গায় এমন প্রতিভাবান বহু শিল্পী আছেন যারা প্রচারের অভাবে বিলুপ্ত হয়ে যান। সেই সমস্ত প্রতিভাবান শিল্পীদের বড় মঞ্চের সুযোগ করে দিল এক নৃত্যশিল্প সংস্থা। সম্প্রীতি আয়োজন করা হয়েছিল শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পের আসরের। যেখানে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি প্রতিভাবান নবাগত নৃত্যশিল্পীরা।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল এক নৃত্য প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান। গ্রামবাংলার এমন অনেক নৃত্যশিল্পী আছেন যারা নাচে পটু হলেও তেমন সুযোগ পান না। সুযোগের অভাবে তাদের শিল্পকলা অজানায় থেকে যায় মানুষের কাছে। প্রচারের অভাবে সেই সমস্ত পটু নিত্য শিল্পীরাও হারিয়ে যান। সেই সমস্ত প্রতিভাবান শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পীদের প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে তাদের মঞ্চ প্রদান করা হয়েছিল এক নৃত্য সংস্থার পক্ষ থেকে। নটরাজ নৃত্য মহোৎসবের পক্ষ থেকে গ্রামবাংলার প্রতিভাবান পটু শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। একাধিক জেলার বহু নৃত্যশিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। নতুন জলপাইগুড়ি, দুর্গাপুর, আসানসোল, হুগলি সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে শিল্পীরা এসে এতে অংশগ্রহণ করেন। এটি আঞ্চলিক প্রতিভা তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। নৃত্য সংস্থার এই উদ্যোগের খুশি শিল্পীরা।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যজগতের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যেমন ভারতনাট্যম গুরু খগেন্দ্রনাথ বর্মণ, ড. অর্কদেব ভট্টাচার্য, কর্নাটক থেকে শ্রী কুমার করিয়াপ্পা, খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পী মালবিকা সেন, শ্রী উৎপল কুণ্ডু এবং ওড়িশি নৃত্যশিল্পী শিব নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নটরাজ নৃত্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং আয়োজক পরমিতা মন্ডলের বক্তব্য, “আমরা অন্যান্য নৃত্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে এই শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রদর্শনী প্রতি বছর আয়োজন করি। আমরা চাই সরকারী সহায়তা, যাতে এই শিল্পটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এবং গ্রামীণ নৃত্যশিল্পীরা বৃহত্তর মঞ্চে নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শন করতে পারে।”এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকাগুলির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার এক অনন্য প্রয়াস ছিল। গ্রাম বাংলার প্রতিভাকে শহরের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয় এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পীরা তাদের শিল্পকলা কে নৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন এই অনুষ্ঠানে সুযোগ পেয়ে খুশি অংশগ্রহণকারী নৃত্যশিল্পীরা।