রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে জাল ওষুধ। ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোলের পক্ষ থেকে বাগড়ি মার্কেট, মেহেতা বিল্ডিং সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২০ লক্ষেরও বেশি টাকার ওষুধ উদ্ধার করে তা পাঠিয়েছেন নমুনা পরীক্ষা করতে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: রাজ্য জুড়ে এই মুহুর্তে ফেক মেডিসিনের রমরমা। বাগড়ি মার্কেট মেহতা বিল্ডিং ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের হানায় বাজেয়াপ্ত ২০ লক্ষাধিক টাকার ওষুধ। তবে সেই বড়বাজার ঘুরেই ধরা পড়ল অন্য ছবি। এখনও বহু ব্যবসায়ীই QR কোডের নিয়ম মেনে ব্যবসা করছেন না। সারাদিন বারংবার ধরা পড়ল সেই চাঞ্চল্যকর ছবি।
ড্রাগ কন্ট্রোলের এই অতর্কিত হানা দেওয়ার জন্য ৬ টি দলে ১৯ জন অফিসার ভাগ হয়ে যান। কোড স্ক্যান কিভাবে করতে হয় তা শেখানো হয়। তবে বলাই সার। এখনও তো সেই বিলেই ভরসা করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ, যে সমস্ত ওষুধ গুণমান্র উত্তীর্ণ হতে পারেনি, সেই ওষুধ কোনওভাবেই পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকে বিক্রি না হয়। রাজ্যের প্রতিটি ওষুধের দোকানে অবিলম্বে নট স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগের তালিকা ঝোলাতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু মেহেতা বিল্ডিংয়ে পাওয়া গেল না সেই তালিকাও।
এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য ইতিমধ্যে নম্বর প্রকাশ করল ডাইরেক্টরেট অফ ড্রাগ কন্ট্রোল(ওয়েস্ট বেঙ্গল)। ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে— ওষুধের শিশি বা স্ট্রিপ সন্দেহজনক মনে হলেই ফোন করুন ডাইরেক্টরেট অফ ড্রাগ কন্ট্রোলে। নম্বর ২২২৫-২২১৩, ২২২৫-২২১৪।এবং কোনও দোকান থেকে কেনা ওষুধ সন্দেহজনক মনে হলে, বা দীর্ঘদিন খাওয়ার পরেও তা কাজ না করলে মেল করতে হবে [email protected]।