স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্যকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা। আগামী ৩১ শে মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের অধ্যাপনা তথা প্রফেসরশিপ’-এর মেয়াদ শেষ হবে। তার আগে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধিগত সঙ্কটের সৃষ্টি হবে বলে বক্তব্য জুটার।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্যকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা। আগামী ৩১ শে মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের অধ্যাপনা তথা প্রফেসরশিপ’-এর মেয়াদ শেষ হবে। এই অবস্থায় দ্রুত স্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগ না হলে তার প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কাজে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটার পক্ষ থেকে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এই সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হল। গত বছর এপ্রিল মাসে ইলেকট্রনিক এন্ড টেলি কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করে করা হয়। নিয়োগ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। জুটার সভাপতি পার্থপ্রতিম বিশ্বাসের বক্তব্য, “ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদখালি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় একটা বিধিগত সঙ্কটে পড়বে। প্রশাসনিক যে কোন কাজেই একটা বাধার সৃষ্টি হবে।” তাই জুটার পক্ষ থেকে আচার্যকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ আদালত তথা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এখনও বাকি রয়েছে আরও ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ। যারমধ্যে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়কে সচল রাখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের আবেদন জানানো হয়েছে। জুটার তরফ থেকে আচার্যকে চিঠিতে জানানে হয়েছে, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন থেকে প্রশাসনিক কাজকর্ম সমস্ত কিছুই থমকে যাবে। কোনও বিষয়ে কোনও গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠক ডাকাতে সমস্যা হবে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডক্টরাল প্রোগ্রামের কাজকর্মও সুষ্ঠু ভাবে করা সম্ভব হচ্ছে হবে না। প্রসঙ্গত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলেও যেহেতু স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হয়নি তাই আগের উপাচার্য তিনিই দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন। যদিও এখনও যাদবপুরের ক্ষেত্রে এরকম কোনও বার্তা রাজভবনের পক্ষ থেকে আসেনি।