ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: দিনের পর দিন নদীর জলে মিশছে একাধিক কারখানার বর্জ্য। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। ঘটনায় অবশেষে বিশেষ দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাইই নয়, পরিবেশ বিধি না মেনে নদীর জলে বর্জ্য নিষ্কাশন হলে কারখানাগুলিকে অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। হুগলির ধনেখালি ব্লকের একটি কৃষক সংগঠনের অভিযোগ ছিল, হুগলির ধনেখালি, সর্বমঙ্গলা, মনিপুর, রামেশ্বরপুর, ভোতর, মেখলি-সহ একাধিক গ্রামের পাশে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ইলসুরা নদী। স্থানীয়ভাবে এই নদী কুন্তল নদী নামে পরিচিত। শুনানিতে মামলাকারীর অভিযোগ, এই নদীতে প্রতিদিন মিশছে একাধিক হোসিয়ারি ও রাইস মিলের বর্জ্য। স্থানীয় বিডিও এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। যদিও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পাল্টা জানায়, এর ওই কারখানাগুলিতে হানা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ বিধি না মানায় একটি হোসিয়ারি কারখানাকে জরিমানাও করা হয়েছে।
যদিও সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, শুধু একটি কারখানা নয়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে ওই নদী সংলগ্ন সমস্ত কারখানাগুলিতে সাইপ্রাইজ ভিজিট করতে হবে। এজন্য বিশেষ আফিসারদের নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করতে হবে। ওই দলকে সব রকম পুলিসি সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে হুগলির পুলিস সুপারকে। যদি দেখা যায় পরিবেশ বিধি না মেনেই কারখানাগুলি চলছে। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে ওই কারখানাগুলি বন্ধ করতে হবে।