ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার অন্তর্গত তারাচুয়া মৌজায় বছরের পর বছর ধরে আদিবাসীদের ফসলী কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও খাদানের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে পাথর মাফিয়ারা বলে অভিযোগ। এবং শুধু তাই নয়, তাদের আরও অভিযোগ একের পর এক কৃষি জমি নষ্ট করছে , অথচ রাজ্য সরকারের কাছে এ ধরণের কাজে কোন অনুমতি নেয়নি
প্রাকৃতিক ভারসাম্য কেই নষ্ট করছে শুধু নয়, এক ফসলি দু ফসলি জমিও নষ্ট করে দিচ্ছে এই পাথর মাফিয়ারা। যার জেরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পাশাপাশি তাঁরা ভূমিহীন হয়েও পড়ছেন।রাজ্য সরকারের অনুমতিহীন বেআইনি পাথর খাদান তৈরি করায় বিরাট অংকের আর্থিক ক্ষতি পর্যন্ত সরকারের।
মামলাকারী চাঁদ হালদার, বাসুমনি মান্ডি, চন্ডী কিসকু ও রবি হাসদারদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরীর অভিযোগ, কিছু কিছু জমির মালিকদের সঙ্গে পাথর মাফিয়ারা যুক্ত হয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি বলপূর্বক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের কে জানিও এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়ে তারা কোনরকম কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। নিম্ন আদালতে জমির চরিত্র পরিবর্তন না করা নির্দেশিকা কে অমান্য করেই পাথর মাফিয়ারা দিনের পর দিন পাথর উত্তোলন করছে। যে কারণে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁদের।
হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি সেনের এজলাসে মামলা শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, কোন জায়গায় পাথর উত্তোলন বা পাথর খাদান করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট আইন মেনে এবং বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের থেকে আইনি অনুমতি নিয়েই এই ধরনের পাথর খাদান এবং পাথর উত্তোলনের কাজ করতে পারে। কিন্তু সেই সমস্ত আইন নীতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অন্যায় ভাবে যারা এই কাজের সাথে যুক্ত তাদের আইনি শাস্তির বিধান রয়েছে । কিন্তু রাজ্যের ভূমি রাজস্ব দপ্তরও ভূমি সংস্কার দফতরের একাংশের যোগ সাজসে পাথর মাফিয়ারা এভাবেই রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যে কারণে বিরাট অংকের ক্ষতির মুখে রাজ্য সরকার। যে কারণে আদিবাসীদের জীবন জীবিকা আজ সংকটের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে তাই আদালতের এবিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।
বিচারপতি পার্থসারথি সেন বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া এই ধরনের অবৈধ কাজ কোনভাবেই সম্ভব নয়। মাইনিং অ্যাক্ট না মেনেই কিভাবে ধরনের খাদানের কাজ করে চলেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা? বীরভূম জেলার ডিএমকে নির্দেশ একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকে নিয়োগ করে তদন্ত করতে হবে। যদি এই ধরনের কোন কাজ রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই চলে তা অবিলম্বে বন্ধ করে দিতে হবে।