সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ২৬ জন পর্যটককে মারার বদলা নিতে শুরু করেছে দেশের প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে গোলা-গুলি শুরু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে। পাকিস্তানি সেনারা বেশ কয়েকটি ভারতীয় পোস্টে গুলি ছুঁড়েছে। তার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় জড়িত লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি আসিফ শেখের বাড়ি বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই। অপরদিকে আর এক কাশ্মীরি জঙ্গি আদিল হুসেনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল নিরাপত্তা বাহিনী। পহেলগাঁওয়ে হামলায় যে জঙ্গিদের বিবরণ সামনে এসেছে, আসিফ শেখ এবং আদিল হুসেন তাদের অন্যতম। বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ন্ত্রণ সীমা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে হঠাৎই গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনা। বুঝতে পেরে ভারতীয় সেনা সঙ্গে সঙ্গে এই হামলার জবাব দেয়, যদিও গুলি বর্ষণে কোনও পক্ষেরই হতাহতের খবর নেই।
কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আবার নতুন করে অশান্ত হয়েছে। আদিল হুসেন অনন্তনাগ জেলার বাসিন্দা এবং আসিফ পুলওয়ামার বাসিন্দা। দুজনেই পহেলগাঁও হামলার অন্যতম মূল চক্রী। প্রচুর পরিমানে বিস্ফোরক মজুত ছিল আসিফ শেখের বাড়িতে বলে দাবি পুলিশের। তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশের চোখে পড়ে সন্দেহজনক কিছু রয়েছে, তা দেখে নিজেরা সুরক্ষিত জায়গায় সরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়। ২০১৮ সালে আদিল বৈধভাবে পাকিস্তান যায়। গত বছর সে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাশ্মীরে ফেরে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, পহেলগাঁও হামলায় তার ভূমিকা ছিল বাকি জঙ্গিদের গাইড ও পরিবহন পরিষেবা দেওয়া। এই আদিলের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল নিরাপত্তা বাহিনী।
জঙ্গি ও তাদের আশ্রয়দাতাদের যে কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না, তা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তারই যেন পদক্ষেপ করা শুরু করল সেনা। ৪ জন জঙ্গির ছবি ও ৩ জনের নাম সামনে এলেও এই ঘটনায় জড়িত ৫-৭ জন জঙ্গি বলে জানা গেছে। যে ৩ জনের নাম সামনে এসেছে অর্থাৎ যাদের কোড নাম মুসা, ইউনুস এবং আসিফ। এরা ৩ জন পুঞ্চ হামলায় জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিলের পর পহেলগাঁও হামলাই সব থেকে বড় বলে জানা যায়। অভিযুক্ত ৩ জনের ছবি প্রকাশ করে তাদের মাথার দাম রাখা হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা।