২২ তারিখের জঙ্গি হামলা যার মস্তিস্ক প্রসূত সে হল লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ। তার ইশারাতেই কাশ্মীরে নাশকতা করে পাক জঙ্গিরা। তাদের সঙ্গ দেয় স্থানীয় কাশ্মীরি জঙ্গিরা। দ্যা রেসিস্ট্যান্স ফোর্স বা টিআরএফ (TRF) লস্করের ছায়া সংগঠন।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলায় জড়িত বেশ কয়েকজন জঙ্গির নাম ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে। শুক্রবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুও হয়েছে এক লস্কর কমান্ডারের। তবে এই গোটা ঘটনার মূলে যে অর্থাৎ ২২ তারিখের জঙ্গি হামলা যার মস্তিস্ক প্রসূত সে হল লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ। তার ইশারাতেই কাশ্মীরে নাশকতা করে পাক জঙ্গিরা। তাদের সঙ্গ দেয় স্থানীয় কাশ্মীরি জঙ্গিরা। দ্যা রেসিস্ট্যান্স ফোর্স বা টিআরএফ (TRF) লস্করের ছায়া সংগঠন। লস্করের নির্দেশে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন শিবিরে পাক সেনারা সামরিক বাহিনীর মতো প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ দেয় গ্রাউন্ড লেভেলের জঙ্গিদের অর্থাৎ যারা অপারেশনে যায়। লস্কর সোনমার্গ, বুটা পাঠরি ও গান্ডেরওয়ালে বড় হামলাগুলির সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের অক্টোবরে বুটা পাঠরিতে দুই সেনা জওয়ানসহ চারজনকে হত্যা করে এরা। ওই মাসেই সোনমার্গে হানা দেয় জঙ্গিরা। একটি সুড়ঙ্গে ঢুকে ৬ নির্মাণ কর্মীসহ এক ডাক্তারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পর ওই বছরের ডিসেম্বরে এক সংঘর্ষে এই জঙ্গি শাখার এ প্লাস ক্যাটেগরির লস্কর জঙ্গি, জুনেইদ আহমেদ ভাটকে খতম করে সেনা। জুনেইদের বাড়ি কুলগাঁওয়ে। সঙ্গে থাকা বাকি জঙ্গিরা গুলি বর্ষণ করতে করতে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরেই TRF আত্মগোপন করে। কাশ্মীরের পার্বত্য জঙ্গলে ঘাঁটি তৈরি করে অপেক্ষা করতে থাকে পাকিস্তানি শীর্ষ নেতৃত্বের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায়। হাফিজ সইদ এই সংগঠনের কমান্ডারদের রিমোটে নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের মধ্যে অন্যতম হল হাফিজের ডানহাত বা লস্করের ডেপুটি সইফুল্লা। হাফিজ ও সইফুল্লা পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরি জঙ্গিদের নির্দেশ দেয় বলে জানা গেছে। লস্করের থেকে নানান রকমভাবে সুবিধা পায় টিআরএফ। অস্ত্র, বাহিনী এবং তালিমসহ সব ধরনের সাহায্য পায়। সব কিছুর পিছনে রয়েছে পাক সেনাবাহিনী ও তাদের চর সংস্থা আইএসআই।