পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে তিন বার ফ্ল্যাগ মিটিং করে বিএসএফ। তারপরেও পূর্ণমকে মুক্ত করেনি পাকিস্তান। সীমান্তরক্ষীদের ভুল করে নিয়ন্ত্রণরেখা পার হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। দুই তরফের বাহিনীর বৈঠকের পরে তাঁদের মুক্তও করা হয়। তবে বর্তমানের অসন্তোষ পরিস্থিতিতে পূর্ণমকে মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকার করছে পাকিস্তান।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- প্রায় ৪দিন অতিক্রান্ত, এখনও পাকিস্তানি সেনার কবলে বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে তিন বার ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের। তারপরেও পাকিস্তান পূর্ণমকে ছাড়বে না বলে জানা গেছে। বারংবার সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর অনুরোধ করা সত্ত্বেও পাকিস্তান পূর্ণমকে ফেরত পাঠাতে নারাজ। এমতাবস্থায় স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে রিষড়া থেকে পাকিস্তান যাচ্ছেন পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে বুধবার ভুল করে পঞ্জাবের সীমান্তের পাঠানকোট বর্ডার পেরিয়ে পাকিস্তান ভূখন্ডে ঢুকে পড়ে পূর্ণম। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে পাকিস্তানি রেঞ্জাররা। এরপরে পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে তিন বার ফ্ল্যাগ মিটিং করে বিএসএফ। তারপরেও পূর্ণমকে মুক্ত করেনি পাকিস্তান। সীমান্তরক্ষীদের ভুল করে নিয়ন্ত্রণরেখা পার হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। দুই তরফের বাহিনীর বৈঠকের পরে তাঁদের মুক্তও করা হয়। তবে বর্তমানের অসন্তোষ পরিস্থিতিতে পূর্ণমকে মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকার করছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দাবি, ওই যুবকের সম্পর্কে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। এই ঘটনার পরেই ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় সতর্কতা বাড়িয়েছে বিএসএফ। পূর্ণমকে ফেরানো নিয়ে সব চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে কমান্ডার স্তরে বৈঠক করার অনুরোধ করা হয়েছে বিএসএফের তরফে। খুব তাড়াতাড়ি বৈঠকে বসার কথা দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার স্তরের আধিকারিকেদের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করেছেন বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ চৌধরি।
এই পরিস্থিতিতে রিষড়ায় উদ্বিগ্ন পূর্ণমের পরিবার। তাঁর বাবা ভোলানাথ সাউ বার বার কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন ছেলেকে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়ে। পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউ অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর খোঁজে তিনি পাঠানকোট যাচ্ছেন। গত বুধবার টহলের সময়ে হঠাৎই পূর্ণমের শরীর খারাপ লাগছিল। সেই সময় তিনি একটি গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে বসেছিলেন। ঠিক তখনই পাকিস্তানি রেঞ্জারেরা তাঁকে আটক করে নিয়ে যান। ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই পাকিস্তানের হাতে আটক পূর্ণম।