চক্রযুদ্ধ ঘোষ সাংবাদিক – আমির খান অভিনীত ২০০৭ সালের হিট ছবি ‘তারে জমিন পর’ এর সিকুয়েল হলো ‘সিতারে জমিন পর’। এটির আজ প্রথম পোস্টার রিলিজ করলো আমির খান প্রোডাকশনস। আমির খানের গত সাত বছরে মাত্র দুটি ফিল্ম মুক্তি পেয়েছে, আর সেগুলি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই ফিল্মটির সফল হওয়া টা তার জন্যে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ।
‘তারে জমিন পর’ ছবিটি একটি অরিজিনাল হওয়া সত্ত্বেও, এটির সিকুয়েল টি অরিজিনাল কাজ নয়। এটি একটি স্প্যানিশ ফিল্ম জাভিয়ের ফেসের পরিচালিত ‘চ্যাম্পিয়ন্স’ -এর রিমেক। এর আগেও আমির খান বিদেশী সিনেমা থেকে প্রভাবিত হয়েছেন। সেটি ‘ধূম ৩’ বেলায় খ্রীষ্টাফার নোলানের ‘প্রেস্টিজ’ থেকে শেষের টুইস্ট টা নেওয়া, ‘ঘজিনী’ সিনেমাটির মূল আইডিয়া টি নোলানের ‘মেমেনটো’ থেকে নেওয়া, বা ‘থগস্ অফ হিন্দোস্থান’ সিনেমাটিতে ‘পাইরেটস অফ দি ক্যরিবেয়ান’-এর কিছু দৃশ্য নেওয়া। তার শেষ মুক্তি পাওয়া ছবি ‘লাল সিংহ চাড্ডা’ একটি অফিসিয়াল রিমেক ছিল Tom Hanks- এর বিখ্যাত সিনেমা ফরেস্ট গাম্পের।
এই স্প্যানিশ ফিল্ম টি একটি বাস্কেট বল দলের গল্প, যেটি তৈরী হয় সে সব খেলোয়াড় দিয়ে, যাদের শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা আছে। তাদের একটি চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার গল্প। আমির খান এই গল্পটিকে ভারতীয় প্রেক্ষাপটে ফেলে, একটি ফিল্ম গঠন করেছেন। নতুন পোস্টার টি ও সেই কথা বলছে। আমরা দেখছি আমির খানের চরিত্রটি অনেক গুলো টীম মেম্বার্স দের মাঝে বসে আছে, এবং তার মুখের ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে তার হাল বেহাল। সম্ভত উনি এই প্লেয়ার গুলির কোচ। এরকম থিমের উপর তিনি আগে ‘দঙ্গল’ করেছেন। ওই ফিল্মটির প্রেক্ষাপট অন্য হলেও ওটিও একটি স্পোর্টস ড্রামা ছিল। তার ও আগে তিনি আশুতোষ গোওয়ারীকরের ‘লগান’ করেছিলেন, যেটি আবার একটি স্পোর্টস ড্রামা। সেই ফিল্ম গুলির মুক্তি পাওয়ার সময় ও অন্য ছিল।
আমির খানের এই ফিল্মটির পেছনে প্রচুর খাটনির প্রয়োজন, কারণ তার শেষ সিনেমাটি ‘লাল সিংহ চড্ডা’, একটি রিমেক, বিশাল বড়ো বক্স অফিসে ফ্লপ হয়েছিল। রিমেক কালচার বলিউডে আজ ২০২৫-এর সময়, আর সফল ফর্মুলা নয়। এটিকে ভুল প্রমান করে আমির খান কি পারবেন একটা হিট দিতে? সময় বলবে।