দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি নাশকতায় প্রাণ হারায় ২৬ জন। সেই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান লিখে পোস্ট করে বেশ কয়েকজন। তা নজরে আসতেই তৎপর হয় অসম পুলিশ। ৩ দিনের মধ্যে ১১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরের ১১ দিনে আরও ৩১ জনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। সব মিলিয়ে ৪২ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বেশ কয়েক জন। নজরে আসতেই সেই প্রোফাইল গুলোর উপর নজরদারি শুরু হয়। তাদের খোঁজও শুরু করে অসম পুলিশ। সেই ঘটনায় ৪২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সে কথা নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। ভারতের থেকে পাকিস্তানকে সমর্থনের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। প্রয়োজনে ধৃতদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে মামলা করা হবে। মোট ৪২ জন দেশদ্রোহীকে জেলে ভরা গেছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি নাশকতায় প্রাণ হারায় ২৬ জন। সেই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান লিখে পোস্ট করে বেশ কয়েকজন। তা নজরে আসতেই তৎপর হয় অসম পুলিশ। ৩ দিনের মধ্যে ১১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরের ১১ দিনে আরও ৩১ জনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। সব মিলিয়ে ৪২ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন, অসমের বিরোধী দল এআইইউডিএফের বিধায়ক আমিনুল ইসলামও। অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে আগেও বলতে শোনা গেছে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনও মিল নেই। ২ দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও নেই। আমাদের সেই ভাবে থাকতে হবে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার সব পোস্ট খতিয়ে দেখছি। যাঁদের পোস্ট দেশবিরোধী মনে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমতাবস্থায় কড়া হাতে ধরপাকড় শুরু করল অসমের পুলিশ।