অপারেশন সিঁদুর এবার দেশের মাটিতেই। সীমান্তের ওপারে গিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা বা জঙ্গিদের মেরে আসার পর মঙ্গলবার দেশের অভ্যন্তরেই পুলিশ ও সেনার যৌথ অপারেশন এ মৃত্যু হলো তিন কুখ্যাত লস্কর জঙ্গির যার মধ্যে একজন তো আবার লস্কর-এ-তৈয়বার কাশ্মীরের প্রধান মুখ।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- সাত তারিখ ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিলো ভারত। যে আক্রমণে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছিলো। মারা যায় আমেরিকার হিট লিস্টে থাকা পাঁচ কুখ্যাত লস্কর ও জৈশ জঙ্গি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযানে খতম হলো তিন কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিলো ‘অপারেশন কেল্লার’।
জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের অপারেশনে যে তিন জঙ্গি মারা গিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো কাশ্মীর ভ্যালিতে লস্কর-এ-তৈয়বার ‘অপারেশনাল চিফ কমান্ডার শাহীদ কুট্টি’। কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার চটিপোরা হীরপোরা এলাকার ছেলে ‘শাহীদ’ লস্করের শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স'(TRF), যারা পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিলো, সেই সংগঠনেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলো। ২০২৪ এর ৮ এপ্রিল দানিস রিসর্টে যে জঙ্গি হামলা হয়েছিলো, যে হামলায় দুই জার্মান পর্যটক ও তাঁদের গাড়ির চালক গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হলো এই শাহীদ কুট্টি। এছাড়াও ‘কুলগাম’ এর বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যকে হত্যা করা ছাড়াও আরো একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলো শাহীদ।
এদিন দ্বিতীয় যে জঙ্গি মারা গিয়েছে তার নাম ‘আদনান শফি দার।’ কাশ্মীরের ওয়ানদুনা মেলহোরা এলাকার বাসিন্দা মুহম্মদ শফি দার এর ছেলে এই আদনান। শাহীদ এর মতো আদনান ও কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত। তৃতীয় যে জঙ্গি আজ খতম হয়েছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও কিছু জানা যায় নি, তবে মনে করা হচ্ছে তৃতীয় এই জঙ্গি সম্ভবত পাকিস্তানের নাগরিক। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনার সঙ্গে এই জঙ্গিদের সরাসরি সম্পর্ক ছিলো বলেই মত পুলিশের।