নিজে হয়তো প্রীতমের জন্মদাতা নন, কিন্তু বিবাহ সূত্রে স্ত্রী রিংকুর আগের পক্ষের ছেলেকেই নিজের ছেলে বলে মেনে নিয়েছেন। তার এহেন আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন এই বয়সে এসে পুত্রশোক পেলেন।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: আরজিকর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরেই ছেলের দেহ নিয়ে রওনা হন রিংকু। সরাসরি নিমতলা শ্মশানে আসেন দিলীপ ঘোষ। প্রীতমকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি জানান ‘কোথা থেকে কি হয়ে গেল বুঝতে পারছি না’। এটা তার দূর্ভাগ্য যে এই জীবনে তিনি পুত্রসুখ না পেলেও পুত্রশোক পেলেন। তারও চোখেমুখে বিধ্বস্ত ভাব। দিলীপ আরও বলেন ‘এটা এমন একটা ঘটনা, যার বর্ণনা দেওয়া যায় না। আমরা কল্পনাই করতে পারছি না। আমি তো এখনও বুঝতে পারছি না, কী হল। ওর মা সকালে রান্না করছিল। একটা ফোন এল। সেই অবস্থায় দৌড়ে চলে গেল। এখন এখানে এসে পৌঁছেছি আমরা।
দিলীপ ঘোষ জানান কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, কেন হয়েছে, কিছু বুঝতে পারা যাচ্ছে না। পুরোটাই রহস্য রয়ে গিয়েছে। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট এলে বুঝতে পারা যাবে কেন এমন একটা জলজ্যান্ত ছেলে চলে গেল। তিনি জানান প্রীতমের কাছে ওর মা সবকিছু ছিল। তার সঙ্গে অনেক আগে থেকে পরিচয়। দুজনে একসঙ্গে খেলা দেখতে গিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিয়ের এক মাসের মধ্যেই এতবড় এক আঘাত, যা রীতিমতো এলোমেলো করে দিল তাদের জীবন।
এর পাশাপাশি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। যেখানে আত্মহত্যার কোন ইঙ্গিত নেই। বলা হয়েছে, Acute hemaragic pancreatitis এর ফলেই তার মৃত্যু। এছাড়াও লিভার হার্ট স্বাভাবিকের থেকে বড় ছিল। রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায় বলে দাবি চিকিৎসকদের।