প্রীতমের মৃত্যুতে যথেষ্ট আঘাত পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন ‘পুত্রসুখ হয়নি, তবে পুত্রশোক পেলাম’। বুধবারও নিয়ম মেনে মর্নিং ওয়াকে যান তিনি। সেখানে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান নেশার গ্রাসে ডুবছে তরুণসমাজ।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: দৈনন্দিন নিয়ম মেনেই বুধবার সকালেও প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানে আবার উঠল সৃঞ্জয় প্রসঙ্গ এবং দিলীপের গলায় শোনা গেল সেই আক্ষেপের সুর। উদ্বেগের সঙ্গেই বললেন, “আজকের যুবসমাজের মধ্যে নেশার যে কি প্রভাব, তার এটা একটা নমুনা। ঠিক কি হয়েছিল বলার আগেই তো ছেলেটা শেষ হয়ে গেল। আমাদের সবার কাছে এটা একটা বড় শিক্ষা। আমাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় যাচ্ছে কি করছে? তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়না। তারপরেও এতবড় রিস্ক থেকে যায়। এটাই চিন্তার বিষয়।”
তিনি আরও জানান যে, , ”বহুদিন ধরেই নাকি ড্রাগের নেশা করতেন প্রীতন এই নিয়ে তার কাউন্সেলিংও চলছিল। অফিসের ডাক্তার দেখত ওকে। হঠাৎ করে কেন হল, কী হল রিপোর্ট এলে বুঝতে পারব। প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে।” তার আক্ষেপ একটা তরতাজা ছেলে এভাবে চলে গেল।
মঙ্গলবার নিজের ফ্ল্যাট থেকে অচেতন দেহ উদ্ধার হয় প্রীতমের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ‘ব্রট ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকরে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে এটা আত্মহত্যা নয়। বরং অগ্ন্যাশয়ের ভেতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিংকু মজুমদারের আগের পক্ষের ছেলের৷