ভারতীয় অর্থনীতি সারা বিশ্বে এখন আলোচনার কেন্দ্রস্থলে। পঞ্চম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি সারা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবসায়। সেখানেও আছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৃহৎ অবদান।
সুজিত চ্যাটার্জি,সাংবাদিক- ভারতে জিডিপির ৩০ শতাংশ অবদান রাখে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, যাকে বলে SME (Small and Medium Enterprises) সেক্টর। ভারতে রেজিস্টার্ড ৬৩ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশের বিমা সুরক্ষা আছে অর্থাৎ বিপদে পড়লে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে তারা অনেকটাই নিজেদের বাঁচাতে পারবে। বাদবাকি ৮৫ শতাংশের কোনও বিমা সুরক্ষাটুকুও নেই। তারা অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে প্রচন্ড আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে।
কেন এমন অনীহা? এটাকে কি আপ্রয়োজনীয় খরচ বলে মনে করেন উদ্যোগপতিরা ? নাকি এই নিয়ে লাভ লোকসানের পর্যাপ্ত জ্ঞান তাদের নেই?
করোনা পরবর্তী সময়ে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হলে গেছে। বিশেষভাবে যারা রপ্তানি ভিত্তিক ব্যবসা বানিজ্য করেন, তারা রয়েছেন যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে। এরমধ্যে ডিজিটাল ব্যবসার জন্য সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি উদ্বেগজনক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৭০ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান চুরি, সাইবার আক্রমণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাপ্লাই চেনের সমস্যার মতো ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এই সংক্রান্ত অভিযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থ বর্ষে বিমা সংক্রান্ত এই দৈন্যতা কি ঘুঁচবে? বাজার অর্থনীতির সঙ্গে জড়িতদের এখন এটাই সবচেয়ে বড় চিন্তা।