মুর্শিদাবাদে হিংসাত্মক ঘটনার পর কেঁটে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও সেখানকার মানুষের মনে এখনও যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে।ফলে আপাতত মুর্শিদাবাদের হিংসা দীর্ণ এলাকায় কেন্দ্রিয় বাহিনী থাকার বিষয়েই মত দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক – মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় এদিন হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিট (SIT-Special Investigation Team)। যাদের জান মালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে ১৪২ টি কেস করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ৩৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সিট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে মুর্শিদাবাদে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়। সেই সঙ্গে আপাতত ওখানে (সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুর এলাকায়) কেন্দ্রিয় বাহিনী থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি স্থায়ী একটা বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করার যে আবেদন স্থানীয়দের পক্ষ থেকে করা হয়েছিলো, সেই বিষয়টি বিবেচনা করার জন্যেও রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সমাজ মাধ্যমে যাতে গুজব না ছড়ানো হয় সেটা দেখার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চ। এই বিষয়ে এদিন আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ইতিমধ্যে এক হাজারের বেশি সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষের আস্থা অর্জনের কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। ৮২ টি পরিবারকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ৩০০ টি আক্রান্ত পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে বলেও আদালতকে জানান কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চেয়ে যারা আবেদন করেছেন তাদের আইনজীবি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জানান,যারা আতঙ্কে ঘর ছেড়েছিলেন তাদের অনেকেই এখনও ত্রিপলের তলায় বাস করছেন। যদিও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন, যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাদেরকে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের অধীনে বাড়ি করে দেওয়া হচ্ছে।