সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ, ভারতের সঙ্গে সংঘাত সত্ত্বেও পাকিস্তানকে ঋণ দিয়ে চলেছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। কিন্তু এবার পাকিস্তানকে সতর্ক করল তারা। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে গেলে তাদের অর্থনীতিতে তো প্রভাব পড়বেই, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংশোধনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, তাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে IMF. তাই পাকিস্তানকে ১১ দফা শর্ত দেওয়া হ’ল।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ঋণের খাতে বরাদ্দ টাকা পাকিস্তান বরাবরের মতোই কুকর্মে ব্যবহার করতে পারে, এই আশঙ্কায় প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার আগে ১১ দফা শর্ত চাপাল আইএমএফ। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেটও নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে ওই আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে। ফলে চাইলেও তা বাড়াতে পারবেন না শাহবাজ শরিফ, আসিফ মুনিররা।
নতুন শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৭.৬ ট্রিলিওনের বাজেটের সংসদীয় অনুমোদন, বিদ্যুৎ বিলে ঋণ পরিশোধের সারচার্জ বৃদ্ধি এবং তিন বছরের বেশি পুরোনো ব্যবহৃত গাড়ি আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার প্রকাশিত আইএমএফের স্টাফ লেভেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা যদি অব্যাহত থাকে বা আরও খারাপ হয়, তবে তা এই প্রোগ্রামের আর্থিক, বৈদেশিক এবং সংস্কার-সংক্রান্ত উদ্দেশ্যগুলোর জন্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে।”
আরও বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের চারটি প্রদেশকেই নতুন কৃষি আয়কর আইন প্রয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে কর রিটার্ন প্রক্রিয়াকরণ, করদাতার পরিচয় ও নিবন্ধন, জনসচেতনতা প্রচার এবং সম্মতি উন্নত করার কৌশল। এই ব্যবস্থা ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এছাড়াও, সরকারকে আইএমএফের গভর্নেন্স ডায়াগনস্টিক অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে একটি শাসন-সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে, যা শাসনের প্রধান দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত ও সমাধান করবে।
পাকিস্তানের অর্থনীতির কোমর ভেঙেছে বহু আগেই। গত কয়েক বছর ধরে আইএমএফের ঋণের উপর টিকে রয়েছে শাহবাজের দেশ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ফের আইএমএফের কাছে গিয়েছিল ইসলামাবাদ। ঋণ মঞ্জুর হলেও পাকিস্তানের গলায় বেল্ট পরিয়ে খুঁটিতে বাঁধল আইএমএফ।