রবিবার ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ইওএস-০৯ স্যাটেলাইট (satellite) নিয়ে রওনা দেয় পিএসএলভি-সি৬১ (PSLV-C61) রকেটটি। উৎক্ষেপণ সফল হয়েছিল। সমস্যা দেখা দেয় মিশনের তৃতীয় ধাপে। হঠাৎই যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। ফলে তা বাতিল করে দিতে হয়।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)-র ১০১তম মহাকাশ অভিযান ব্যর্থ হল। মহাকাশে ইওএস-০৯ (EOS-09) নামক কৃত্রিম উপগ্রহটি পাঠানোর জন্য ইসরোর রকেট রবিবার সকালে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে গিয়ে রকেট থেকে ওই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে প্রতিস্থাপন করা যায়নি। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে অভিযান মাঝপথে বাতিল করতে বাধ্য হয় ইসরোর আধিকারিকেরা।রবিবার ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ইওএস-০৯ স্যাটেলাইট (satellite) নিয়ে রওনা দেয় পিএসএলভি-সি৬১ (PSLV-C61) রকেটটি। উৎক্ষেপণ সফল হয়েছিল। সমস্যা দেখা দেয় মিশনের তৃতীয় ধাপে। হঠাৎই যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। ফলে তা বাতিল করে দিতে হয়।ইসরোর তরফে এই অভিযানের উৎক্ষেপণের সময় থেকে সমগ্র মিশনটি সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযান ব্যর্থ হয়েছে বলে সেখানেই স্বীকার করে নেন সংস্থার প্রধান ভি নারায়ণন। পরে ইসরো সমাজ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানায়, “আজ ১০১তম মিশন শুরু করা হয়েছিল। পিএসএলভি-সি৬১ দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তৃতীয় ধাপে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণের কারণে এই মিশন শেষ করা গেল না।”
ইসরোর ইওএস-০৯ কৃত্রিম উপগ্রহটির ওজন ১,৬৯৬ কেজি। ৫২৪ কিলোমিটারের কক্ষপথে (সান-সিংক্রোনাস পোলার অরবিট) এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে নামানোর কথা ছিল। কিন্তু অভিযানের তৃতীয় ধাপে যে মোটরটি ব্যবহার করা হয় সেটিতে ২০৩ সেকেন্ডের মাথায় যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। ২০১৭ সাল থেকে পিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযানের উৎক্ষেপণ করে আসছে ইসরো। এখনও পর্যন্ত এই রকেট ৬৩টি উৎক্ষেপণে ব্যবহার করা হয়েছে। তার মধ্যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ৩টি মিশনে। কী কারণে এই গোলযোগ ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন ইসরোর ইঞ্জিনিয়ারেরা। ইতিমধ্যে ব্যর্থতা বিশ্লেষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। মিশনের ব্যর্থতার পর মহাকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে রকেটটিকে। সেটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতেই এসে পড়বে। তবে তা থেকে কোনও বিপদ যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করেছে ইসরো।