২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশু বিনিময় কর্মসূচির দ্বারা কলকাতার চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া বাঘকে পাঠানো হয়েছিল ত্রিপুরার সিপাহিজলা চিড়িয়াখানায়। তাদের মধ্যে মেয়ে বাঘটি চলতি বছরের ১১ই মে তিনটি শাবকের জন্ম দেয়।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ত্রিপুরার সিপাহীজলার চিড়িয়াখানার ইতিহাসে এই প্রথম জন্ম নিল তিনটি বাঘের ছানা। ১৯৭২ সালে তৈরি হওয়া ত্রিপুরার একমাত্র চিড়িয়াখানার ইতিহাসে এই ঘটনা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে জানান ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ দাস। তিনি আরও বলেন, “এই প্রথম আমাদের চিড়িয়াখানায় বাঘের ছানার জন্ম হল। সংখ্যা হয়ে দাঁড়াল পাঁচ”। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশু বিনিময় কর্মসূচির দ্বারা কলকাতার চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া বাঘকে পাঠানো হয়েছিল ত্রিপুরার সিপাহিজলা চিড়িয়াখানায়। তাদের মধ্যে মেয়ে বাঘটি চলতি বছরের ১১ই মে তিনটি শাবকের জন্ম দেয়।
বর্তমানে মা বাঘ এবং তার তিনটি ছানাকে এনক্লোজারে রাখা হয়েছে। সুস্থ আছে তারা। আপাতত সাবধানতার জন্য এনক্লোজার থেকে পুরুষ বাঘটিকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে। চিড়িয়াখানার বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, মা বাঘ ও ছানাদের উপর ২৪ ঘন্টা নজর রাখতে ১১টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং সব সময় নজর রাখা হচ্ছে বাঘ বাচ্চাগুলির উপর। এখনও পর্যন্ত সর্ব-সাধারণের জন্য দেখতে দেওয়া হচ্ছে না মা ও ছানাদের। মা বাঘের পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন তাকে সুষম খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন দু-তিনবার মাংসের স্যুপও দেওয়া হচ্ছে যাতে সে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ দিতে পারে এবং ছানারাও যথাযথ পুষ্টি পায়। এর আগে এই চিড়িয়াখানায় ২০১৪ সালে একবার এক বাঘিনী মৃত সন্তান প্রসব করেছিল। তারপরে এই ৩ শাবকের জন্ম। তথ্য অনুযায়ী, সিপাহীজলার চিড়িয়াখানাটি রাজ্যের একমাত্র চিড়িয়াখানা হওয়ায় শীতের সময় সব থেকে বেশি মানুষ সেখানে যান। অন্যান্য মুরসুমেও যথেষ্ট লোকজনের যাতায়াত লেগে থাকে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে, প্রায় ১.৭০ লক্ষ মানুষ সিপাহিজলা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষর।