পাক সেনার ড্রোন-ক্ষেপনাস্ত্র থেকে পবিত্র স্বর্ণ মন্দিরকে রক্ষা করতে এবার স্বর্ণ মন্দিরে বসতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আকাশ হামলারোধী ব্যবস্থা। মন্দিরের শীর্ষ ধর্মীয় সংগঠন সেনাবাহিনীর পরামর্শকে মান্যতা দিয়েছে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর টার্গেট ছিল পঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দির তা ইতিমধ্যেই জানা গেছে। শুধু স্বর্ণ মন্দির না, পাক বাহিনী পঞ্জাবের একাধিক শহর ধ্বংস করারও টার্গেট করেছিল। পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র আকাশেই ধূলিসাৎ করতে সক্ষম হয় ভারতের সেনা বাহিনী। পাক সেনার ড্রোন-ক্ষেপনাস্ত্র থেকে পবিত্র স্বর্ণ মন্দিরকে রক্ষা করতে এবার স্বর্ণ মন্দিরে বসতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আকাশ হামলারোধী ব্যবস্থা। মন্দিরের শীর্ষ ধর্মীয় সংগঠন সেনাবাহিনীর পরামর্শকে মান্যতা দিয়েছে। শিখ ধর্মের সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় স্থানে শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বা ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন বিধ্বংসী কামান মোতায়েন করা হচ্ছে।
ইন্দিরা গান্ধীর আমলে দেখা গেছিল খালিস্তানি জঙ্গি জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালাকে পাকড়াও করতে বেনজির সেনা অভিযান হয়েছিল স্বর্ণ মন্দিরের ভিতরে। সেই নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। অকাল তখত আপত্তি জানায় সেই ঘটনায়। যদিও সেই আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর প্রশাসন স্বর্ণ মন্দিরে ঢুকে অপারেশন ব্লু স্টার চালায় সেনাবাহিনী এবং জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালাকে নিকেশ করে। তবে এবারে স্বর্ণ মন্দিরের প্রধান গ্রন্থী সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে। দেশের এয়ার ডিফেন্স প্রধানও স্বীকার করেছে পুরো বিষয়টি। পাক সেনা স্বর্ণ মন্দির ধ্বংসের জন্য ড্রোন ক্ষেপনাস্ত্র পাঠিয়েছিল তবে সেগুলি সবই আকাশে নষ্ট করা সম্ভব হয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৫ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (GOC) মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রী। মেজর জেনারেল আরও জানান, আমরা জানতাম পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হামলার কোনও ন্যায়নীতি বোধ নেই। ওরা সামরিক, অসামরিক এমনকী ধর্মস্থানেও হামলা চালাতে পারে। সে কারণে শিখ তীর্থ স্বর্ণ মন্দিরকে ওরা লক্ষ্যবস্তু করতে পারে, এমন অনুমান আমাদের ছিল। তাই আমরা একেবারে আধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম স্বর্ণ মন্দিরকে রক্ষা করতে মোতায়েন করে রেখেছিলাম। তিনি বলেন, গত ৮ই মে পাকিস্তান স্বর্ণ মন্দিরকে লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চালায়। তবে যেহেতু আমাদের আগাম অনুমান ছিল ফলে আমরাও সম্পূর্ণ তৈরি ছিলাম। সেনাবাহিনীর বন্দুকধারী জওয়ানরা সেই চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছে। তিনি বলেন, স্বর্ণ মন্দিরকে ধ্বংস করতে যতগুলি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া হয়েছিল, তার প্রত্যেকটি অকেজো করে গেছে। যার ফলে পবিত্র স্বর্ণ মন্দিরের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি।এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স গান স্বর্ণ মন্দির ও পঞ্জাবের একাধিক শহর রক্ষা করে তাও জানানো হয়। সেনার তরফ থেকে স্বর্ণ মন্দির কর্তৃপক্ষকে বোঝানো হয়, দেশের একটি পবিত্র তীর্থস্থানই শুধু নয়, এই গুরুদ্বারের স্থাপত্যকীর্তি অতুলনীয়। তাই এই অমূল্য সম্পদকে রক্ষা করা দেশের কর্তব্য। সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স স্বর্ণ মন্দিরে রাখার পাশাপাশি রাতে আলোও বন্ধ রাখা হবে।