প্রবল বৃষ্টির ফলে বিপুল জলস্রোতের কারণে সাংকালান ও ফিডংয়ের রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। যার কারণে সাংকালান সেতুর কাছে পর্যটকদের গাড়ি পর পর আটকে গিয়েছে। মাংগন প্রশাসন পর্যটকদের এই গাড়িগুলিকে স্থানীয় একটি বিডিও অফিসে পার্কিংয়ে ব্যবস্থা করেছে। বহু পর্যটক আটকে ধসের কারণে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- প্রবল বৃষ্টির জন্য আবারও ধসের ঘটনা সিকিমের রাস্তায়। অনির্দিষ্টকাল পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে লাচুং ও লাচেনের রাস্তা। মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের জন্য আর কোনও পারমিট ইস্যু করছে না সিকিম প্রশাসন। এমনকি পুরনো ইস্যু করা পারমিটগুলো নিয়েও এই ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে যেতে পারবে না পর্যটকরা। পাশাপাশি ধসের জেরে বন্ধ রাস্তা। ফলে আটকে পড়েছে শতাধিক পর্যটকের গাড়ি। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সিকিমের লাচেন ও লাচুংয়ের রাস্তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সিকিম সরকারের। এমনকি সিকিমের অপেক্ষাকৃত উঁচু পাহাড়ি এলাকায়ও পর্যটকদের যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে বিপুল জলস্রোতের কারণে সাংকালান ও ফিডংয়ের রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। যার কারণে সাংকালান সেতুর কাছে পর্যটকদের গাড়ি পর পর আটকে গিয়েছে। মাংগন প্রশাসন পর্যটকদের এই গাড়িগুলিকে স্থানীয় একটি বিডিও অফিসে পার্কিংয়ে ব্যবস্থা করেছে। বহু পর্যটক আটকে ধসের কারণে। গত এপ্রিল মাসেও ধসের জন্য লাচুং-লাচেনের রাস্তা বন্ধ হয়েছিল। সেইবার প্রায় ১৮০০ পর্যটক আটকে পড়েন। তার মধ্যে ছিলেন এরাজ্যের বেশ কয়েকজন পর্যটক। চুংথাংয়ে আটকে যাওয়া হাজার খানেক পর্যটককে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সিকিমে ধসের পরবর্তী সময়ে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন মাংগন জেলা পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরে জিরো পাস, লাচুং রোড হয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুর পথে পর্যটকদের নামিয়ে আনা সম্ভব হয়। খেদুম্পায় জিআরএফ এবং সেনার দল রাস্তা থেকে পাথরের চাঁই সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। প্রখর গ্রীষ্মে সিকিম পারি দিতে চাইছে মানুষ তবে বারংবার এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত পর্যটকরা।