৩০ পড়তে মহিলাদের শরীরে বাসা বাঁধে অসুখ। স্বাস্থ্যই সম্পদ।তাই শরীর ঠিক রাখতে মহিলাদের খাদ্যতালিকায় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কোন খাবার খেলে শরীর ঠিক থাকবে জেনে নিন।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
৩০ পেরলেই মেয়েদের শরীরে বাসা বাঁধছে নানা ধরণের অসুখ। বর্তমানে সংসার ও চাকরি দুটিতেই পারদর্শী থাকা মেয়েরা নিজের দিকে তেমন নজর দিয়ে উঠতে পারেন না। একদিকে থাকে সংসারের গুরুদায়িত্ব আর অন্যদিকে থাকে অফিসের কাজের চাপ। দুই সামলাতে গিয়ে খিদের সময় পেট ভরলেই তারা মনে করেন খাওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু পেট ভরানো খাওঅর খেলেও তাতে আদৌ সুষম খাবার থাকছে কিনা সেবিষয়ে নজরই দেন না তারা। আর তাই বয়স ৩০ পেরলেই শারীরিক নানা সমস্যা তাদের শরীরে বাঁসা বাঁধে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মহিলাদের খাবারের বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকা প্রয়োজন ঠিকমতো সুষম খাদ্য খাওয়া হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। খাদ্যে প্রোটিনের মাত্রা সঠিক আছে কিনা সেদিকেও নজর রাখা প্রয়োজন।
একটি সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে আমাদের দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মেয়েদের শরীরে প্রোটিনের অভাব লক্ষ্য করা যায়। আর এই প্রোটিনের অভাব থাকাতেই একাধিক রোগ বাসা বাঁধে। বহু মেয়ের দেহে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায় যা হাড়ের সমস্যার অন্যতম কারণ। একটি সমীক্ষায় জানা গেছে পুরুষের তুলনায় মেয়েরা প্রোটিন জাতীয় আবার খুব কম খান। চিকিৎসকদের মতে, ৩০ থেকে ৪০ বছরের মহিলাদের খাদ্যে প্রোটিনের মাত্রা সঠিক রাখার প্রয়োজন।
৩০ -৪০ বছর বয়স থেকে মেয়েদের শরীরে একাধিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয়।এই সময় মুড সুইংয়ের মতো সমস্যাও বাড়তে থাকে। এই সময় কারো রক্তে সরকারের মাপ পরিমাণ বেড়ে যায়, কেউ কেউ আবার ভিটামিন ডি ও বি এর ঘাটতিতে ভেগেন। তাই এই বয়সে প্রোটিনজাত খাবারের প্রয়োজন। প্রোটিন জাতীয় খাবার দেহের এইসবের সমস্যাকে অনেকটাই দূর করে।
দেহে প্রোটিনর ঘটতি হলে মূলত শারীরিক যে সমস্যাগুলি দেখা দেয়। ১) দেহের ওজন কমে যায়।২) রক্তে শর্করার মাত্রা আরও কমে যায়।৩) পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে। ৪) দেহে হরমোনের তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। ৫) মাসিকের সমস্যা দেখা দেয়। তাই খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমান সঠিক রাখা প্রয়োজন। একজন মহিলার ওজনের উপর নির্ভর করে প্রোটিনের মাত্রা ঠিক করা প্রয়োজন।যেমন – কেজি প্রতি ওজন অনুযায়ী ০.৮-১.২ গ্রাম প্রোটিন থাকা প্রয়োজন।