ভয়াবহ গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ, যেটুকু বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে স্বস্তি না মিললেও দেখা দিয়েছে এক নতুন বিপদ, এই স্বল্প বৃষ্টিতেই জল জমছে বিভিন্ন জায়গায়, আর সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে ডেঙ্গির উপদ্রব, খবর পেয়েই আগাম সতর্ক স্বাস্থ্যভবন।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ প্রতি বছরেই বর্ষার সময়েই রাজ্যজুড়ে থাবা বসায় ডেঙ্গি। জমা জল থেকে বারংবার খুঁজে পাওয়া যায় ডেঙ্গির মশার লার্ভা। তবে এই বছর সেই চেনা বিপদ যেন আগেই কড়া নাড়ছে দরজায়। মরশুম আসার আগেই সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গিতে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত রাজ্যে ১০২০ জন ডেঙ্গি পজিটিভ হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন হাওড়ায়—১৫৪ জন। এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (১৪০), হুগলি (১২০), মুর্শিদাবাদ (১১৩) এবং কলকাতা (৮২)।হাওড়ার ঘন জনবসতির জেরে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। যদিও সারা বছর জেলা জুড়ে নজরদারি বা প্রচার অভিযান জারি রয়েছে। এর মধ্যে এমন ঘটনা স্বাভাবিকভাবে চিন্তা বাড়াচ্ছে। হাওড়ায় শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জমজ শহর কলকাতায় ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে বলা চলে। তালিকায় প্রথম দশে থাকা বাকি ৫ জেলা হল মালদহ (৭৪), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৭২), বাঁকুড়া (৬৯), নদিয়া (৪৮) এবং পূর্ব বর্ধমান (৪৪)।এই অবস্থায় জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ বা চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এই পরিসংখ্যান কিছুটা হলেও চিন্তার ছাপ ফেলেছে স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের কপালে। রাজ্যের সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়ে স্বাস্থ্যভবনের তরফে বলা হয়েছে ডেঙ্গি রুখতে প্রশাসনের কী ভূমিকা হওয়া উচিত, সে কথা বিশদে জানানোর পাশাপাশি চিকিৎসার পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার কথাও বলা হয়েছে।নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রোগ মোকাবিলায় মাইক্রো-প্ল্যান তৈরি করতে হবে। খুঁজে বার করতে হবে ঠিক কোথায়–কোথায় জল জমছে। প্রয়োজনে জমা জলের খোঁজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়াতে হবে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস, বন্ধ বাড়ি, ফাঁকা জমিতে নজর বাড়াতে হবে।