প্রশাসনকে বারংবার বলেও কাজ হয় নি। এদিকে বর্ষা আসতে আর বেশি দেরি নেই। এবার তাই নিজেরাই চাঁদা তুলে গ্রামের রাস্তা মেরামত করলেন গ্রামবাসীরা। চাঁদা দিলেন প্রাক্তণ পঞ্চায়েত সদস্যও।
মিলন কর্মকার, বাঁকুড়া- বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর ব্লকের মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর মোড় থেকে গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার চরম দুর্দশা পরিস্থিতি। ভগ্নপ্রায় এই রাস্তায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল এই রাস্তা নিয়ে। বর্ষার সময় গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতেও দ্বিধাবোধ করত। এর আগে একাধিকবার দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে এই রাস্তায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে রাস্তা মেরামতের জন্য দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি কোনো সুরাহা। সামনেই আবার বর্ষা কাল আসছে তাই আতঙ্কিত হয়ে গোপালপুর গ্রামের গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে মোরাম দিয়ে নিজেরাই রাস্তা সারাইয়ের কাজে নেমে পড়লেন।
শনিবার সকালে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে এই রাস্তা মেরামত করতে শুরু করেছেন। কারো হাতে ঝুড়ি, কারো হাতে কোদাল, এভাবেই সকাল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রাস্তার সংস্কার করার কাজ। তাদের দাবি প্রশাসন দেখেনি তাই তারা এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।
স্থানীয় বুথ সদস্য তথা মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তণ উপপ্রধান সঞ্জয় মন্ডল জানান এই রাস্তা তৈরি করার জন্য তিনি নিজেও টাকা দিয়েছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গার কাজ শুরু করেছে, এই গ্রামেও আগে কাজ হয়েছে, তবে এই রাস্তাটির নাম ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে পাঠানো হয়েছে কিনা তার উত্তর তার কাছে নেই। তবে তিনি দাবি করেন বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন এবং পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদ থেকে হলেও এই রাস্তার সমস্যার সমাধান হবে।