প্রচন্ড গরম। তার উপর জামাইষষ্ঠী। ভাবছেন কি করবেন? এই গরমে শ্বশুরবাড়ির ভূরিভোজের আয়োজনে কব্জি ডুবিয়ে খেতে পারবেন, যদি মেনে চলেন এই হেল্থ টিপসগুলো।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক-ভোজনরসিক বাঙ্গালির কাছে জামাইষষ্ঠী নতুন পুরনো সব জামাইদের কাছে একটা “বিগ-ডে” বলা যেতে পারে। গরম যতই পড়ুক জামাইষষ্ঠীর আপ্যায়নে কোনও রকম খামতি রাখতে চান না যেমন শ্বাশুড়িরা। তেমনই ওই স্পেশাল ডে-তে পাত পেড়ে শ্বশুর বাড়িতে খাবেন বলে সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন জামাইয়েরা। তবে আবার নতুন জামাইরা এই গরমে বেশি কিছু খেতে না চাইলেও শ্বশুর বাড়িতে কিছু বলতেও পারেন না। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যাওয়ায় শরীর খারাপ করে। তাই সব জামাইদের উদ্দেশ্যে জামাইষষ্ঠীর জন্য কিছু হেল্থ টিপস।
আগামী ১জুন জামাইষষ্ঠী। উক্ত দিনে ফলাহার থেকে ডাল, ভাজা, মাছ- মাংস, মিষ্টি ও পায়েসের মস্ত বড় থালা সেজে উঠবে জামাইয়ের সামনে। পুরনো জামাইয়েরা জামাইষষ্ঠীর বিষয়ে অবগত থাকলেও। সমস্যায় পড়েন নতুন জামায়েরা। তাই জামাইষষ্ঠীর খাওয়াদাওয়ার পর শরীরে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিত।
জামাইষষ্ঠীর দিন সকাল থেকে প্রচুর পরিমানে জল খান। খুব গরম পড়েছে, তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ প্রচুর পরিমানে জল খেলে তেলমশলা যুক্ত খাবার বেশি খেলে শরীরে খুব একটা সমস্যা হবে না। জলের পাশাপাশি যত পারবেন ফলের রস খাবেন। সেটা শরীরের ক্ষেত্রে উপকারী।
জামাইষষ্ঠীর খাওয়া দাওয়া মানে বিশাল আয়োজন। জামাইয়ের পাতে মাছ- মাংস সবই থাকবে। তাই পারলে আগের দিন রাতে একটু হালকা খাবার খেয়ে ডিনার সারার চেষ্টা করুন। তাহলে শরীর ঠিক থাকবে বলে মত ডায়াটিশিয়ানদের বক্তব্য।
শুধুমাত্র রাতের ডিনার নয়। সকালের ব্রেকফাস্টটাও হালকা করে সারার চেষ্টা করবেন। কারণ দুপুরে ভুরিভোজের আয়োজন থাকে তাই ব্রেকফাস্টে ছাতুর সরবত বা ফল খেলে শরীর ঠিক থাকবে। খাওয়ার পর মিনিট ৫বিশ্রাম নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করলে ভালো। এতে হজম ভালো হবে। শরীরেও কোনও সমস্যা হবে না বলে মত চিকিৎসকদের। দুপুরে যেহেতু হেভি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন থাকবে। তাই রাতের খাবার একটু হালকার মধ্যে সারলে শরীর ভালো থাকবে।