শিক্ষামন্ত্রীকে ফের মেইল পাঠানো হল যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের অধিকার মঞ্চ থেকে। ২৬তারিখ সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আবেদন জানিয়ে মেইল পাঠালেন চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা। শনিবার শিক্ষামন্ত্রীকে সাক্ষাৎ করার জন্য ডেডলাইন দেন চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকারা। সোমবারের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীকে দেখা করতে হবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
ফের মেইল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ডেডলাইন বেঁধে দেন চাকরিহারারা। ডেডলাইনের পর এবার মেইল করে সাক্ষাৎকারের আবেদন জানানো হল।
বিগত ১৯দিন ধরে বিকাশ ভবন অর্থাৎ শিক্ষা দফতরের সামনে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলভুক্ত চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলন চলাকালীন তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীকে মেল করেন, চিঠি লেখেন। তার সত্ত্বেও মেলেনি কোনও সদুত্তর। এবার ২৬তারিখ সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আবেদন জানিয়ে মেইল পাঠালেন চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা। শনিবার শিক্ষামন্ত্রীকে সাক্ষাৎ করার জন্য ডেডলাইন দেন চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকারা। সোমবারের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীকে দেখা করতে হবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল। যার ফলে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বর্তমানে চাকরিহারাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে। টানা ১৮ দিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলন করছেন চাকরিহারারা।ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে সরব তাঁরা। তবে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয় বিকাশ ভবনে নয়, সেন্ট্রাল পার্কের সুইমিং পুল লাগোয়া অঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে চাকরিহারারা আন্দোলন করতে পারবেন। আদালতের নির্দেশ মেনে আন্দোলনকারীরা তাঁদের আন্দোলনকরার স্থানপরিবর্তন করবেন। তবে তাঁদের বক্তব্য “শুধু অবস্থানের জায়গা বদল হচ্ছে। আন্দোলন চলবে।” অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ পর্যায়ভিত্তিকভাবে সর্বোচ্চ ২০০ জন করে এই অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিতে পারবেন। আদালতের নির্দেশ মেনেই তাঁরা আন্দোলন করবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ পিটিশন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রিভিউ পিটিশন করা হয়েছে। তাই রিভিউ পিটিশনের গতিপ্রকৃতি জানতে চাই চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক- শিক্ষিকারা। পাশাপাশি তাঁদের দাবি তাঁরা পরীক্ষায় বসবে না। তাঁদের স্ব-সম্মানে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। এই দাবিগুলিকে কেন্দ্র করে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান আন্দোলনকারীরা। তাই ২৬ তারিখ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে মেইল করা হয়েছে চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।