পূর্ব বর্ধমানের প্রথম সারির চিকিতসকের বাড়িতে সিবিআই। কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে চলে তল্লাশি। শনিবার রাতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। শেষ হয় রবিবার সকালে। চিকিতসকের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা। বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা। হিরে, সোনা, মূল্যবান রত্ন উদ্ধার হয়েছে ওই চিকিতসকের বাড়ি থেকে। এরপরেই গ্রেফতার হন তপনকুমার জানা নামে ওই চিকিতসক।
কৌশিক চক্রবর্তী, সাংবাদিক,পূর্ব বর্ধমান- বর্ধমানের মিঠাপুকুরে বিশালাকার বাড়ি। এলাকায় সনামধন্য চিকিতসক তপন কুমার জানা। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত। চিকিতসক নাকি কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হতবাক স্থানীয়রা। এলাকা বেশ জনপ্রিয় ওই চিকিতসক দম্পতি।
শনিবার রাত এগারোটায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি অভিযানে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। সারা রাত ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। রবিবার সাড়ে সাতটা নাগাদ বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় ৮ জন সিবিআই আধিকারিক আসেন তল্লাশি অভিযানে। সূ্ত্রের খবর, বর্ধমানের বাসিন্দা ওই চিকিতসক কর্ণাটকের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে এনএমসি থেকে সাজানো রিপোর্ট পাইয়ে দিতে ঘুষ নেন বলে অভিযোগ। ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে ধরা পড়েন।
গত শনিবার কর্নাটকের বেলাগাভির ওই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সহ তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই মামলাতেই চিকিতসক তপন কুমার জানার বাড়িতে হয় তল্লাশি অভিযান।সূত্রের খবর ওই চিকিতসককে ধরতে ফাঁদ পেতেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আর সেই পাতা ফাঁদেই পা দিয়ে গ্রেফতার চিকিতসক তপন কুমার জানা।