এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে মোট ১১ জন করোনা আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে ৬জনকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। ১ করোনা রোগীর চিকিৎসাধীন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ ধীরে হলেও দেশজুড়ে বাড়ছে করোনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ। এখন যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা মূলত শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। উপসর্গ দেখে রোগীদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ ভাইরাসের শনাক্তকরণ পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তাতে রিপোর্ট পজিটিভ এলে আক্রান্তদের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে, আইসোলেশোনে থাকার কথা বলা হচ্ছে আক্রান্তদের পরিবারকেও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মূলত কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক থেকেই অধিকাংশ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 এবার চিন্তার কারণ । পাশাপাশি ভারতে করোনার LF.7 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত চারজন রোগীর খোঁজ মিলেছে। তবে এই সংক্রমণ সামান্য থাকছে। রোগীরা বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। সতর্কতার জন্য হাসপাতালগুলিকে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বেড ও অক্সিজেন প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। চিনে প্রথম শনাক্ত হয় করোনার এই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট। সিঙ্গাপুর, হংকং-হ এশিয়ার দেশগুলির পাশাপাশি, আমেরিকাতেও এর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে জ্বর, সর্দি, গলা জ্বালা, মাথা যন্ত্রণা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। কোভিড পজিটিভ হলে ভয় না পেয়ে আইসোলেশোনে থাকতে। এখনও অবধি করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভয়ের কারণ তেমন নেই। তবে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাফ জানালেন, কোভিড নিয়ে এখনই আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। মন্ত্রীর কথায়, “সবদিকে নজর রাখা হচ্ছে। তবে সকলকে সাবধান করতে হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।“