কলকাতা: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হতেই প্রচারে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি।
৩ এপ্রিল রাজ্যে ভোট প্রচারের পারদ ছিল তুঙ্গে।
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবির তাদের কব্জির জোর মেপে নেয়।
অন্যদিকে বিজেপিকে একহাত নিতে ছাড়েনি তৃণমূল।
দিনহাটায় পাল্টা নির্বাচনী সভা করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর কটাক্ষের জবাব ফিরিয়ে দেন।
মোদীর ব্রিগেড সভার পাল্টা উত্তর দিতে আসরে নেমেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রীট।
সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, “দেশের জন্য বিপজ্জনক সরকার বিজেপি। সেই দেশদ্রোহী সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি নিজেও দেশদ্রোহী।”
প্রবল রোদ থেকে কর্মী সমর্থকদের স্বস্তি দিতে এই প্রথম রাজ্যে ব্রিগেড মিটিং-এ জার্মান হ্যাঙারের ব্যবহারে ছাউনি দেওয়া হয়।
ওখানে যে সেট বানানো হয়েছিল তার অনুমতি আদৌ ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্য বামফ্রন্ট সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বলা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে অভিযোগ অসত্য নয় বলে তিনি মনে করিয়ে দেন।
অন্যদিকে, ৩০ হাজার কোটি টাকা রাফেল দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে এনে তিনি বলেন, সব দল নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইস্তেহার প্রকাশ করলেও একমাত্র বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশিত হয়নি।
বামফ্রন্টের তরফ থেকে এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলে থাকাকালীন সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত অনেকেই বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে ভোট প্রার্থী হয়েছেন, তাই সেই দলের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে চৌকিদার বললেও তিনি আসলে দাগীদারদের একজন।
২৩ মে-এর পর নরেন্দ্র মোদী আর দিল্লিতে থাকবে না বরং ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা হবে বলে মনে করেন সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।