জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী পরিবর্তন হয়েছে স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রমে। স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রমে যুক্ত হয়েছে কৃত্রিম মেধা অর্থাৎ এআই। অথচ এই বিষয়ে পাঠদানের জন্য যেমন উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তেমনই রয়েছে বিশেষজ্ঞের অভাবও। ফলে অভিযোগ এই পাঠদানের ক্ষেত্রে খামতি থেকে যাচ্ছে। এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হল এই পাঠ্যক্রমের পাঠ দানের এক বিশেষ উদ্যোগ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তার অধীনস্থ কলেজগুলোতে এবার আর্টিফিসিয়াল ইন্টলিজেন্স কোর্স অ্যাড করছে। মঙ্গলবার সেই প্রকল্পের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ হল সিটি কলেজে।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক-সোস্যাল মিডিয়া থেকে সাইবার প্রতারণা। বাজারে এখন নতুন আতঙ্ক আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা এআই। অথচ এআই আসলে বিজ্ঞানের একটি আশীর্বাদ । এই এআই এর সঠিক ব্যবহার কত কঠিন কাজকে সহজ ও নতুনত্ব দিতে পারে। কিন্তু এর ভুল ব্যবহার আবার ডেকে আনতে পারে মহা বিপদ। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এআই শিক্ষা বর্তমানের তরুণ প্রজন্মের কাছে একটা মাস্ট লার্নিং ফ্যাক্টর। তাই তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করল।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তরুণ প্রজন্মের কাছে কৃত্রিম মেধার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ‘এআই স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট কোর্স’ নামে একটি বিশেষ কোর্স চালু করা হল। তারই প্রাথমিক পর্যায়ে মঙ্গলবার সিটি কলেজে এআই নিয়ে একটি ব্রিজ কোর্স করানোর বিষয়টি অনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হল। ‘এআই চ্যাম্প ইন্ডিয়া’ শীর্ষক সংস্থার বিশেষজ্ঞরা সিটি কলেজে এই ব্রিজ কোর্সের ক্লাস করাবেন। এদিন “এআই চ্যাম্প ইন্ডিয়া’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সিটি কলেজের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলো। এই সংস্থা পড়ুয়াদের এআই -এর ভালো মন্দ সব দিকগুলি সম্পর্কে অবগত করবে। এআই কিভাবে তৈরি করা হয়? কিভাবে এটা কাজ করে? কত রকমের কাজ এআই দিয়ে করা যায়? সব কিছু শেখানো হবে এই কোর্সের মাধ্যমে।
এই এআই পাঠ্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন, “ এটা একটা নতুন পাঠ্যক্রম। সব ছাত্রছাত্রীকেই পড়তে হবে। এটাতে এক্সপার্ট তেমন পাচ্ছিনা। এরকম বড় হাউসগুলি যদি এগিয়ে আসেন তাহলে আমাদের সুবিধে হবে এই এআই-কে কিভাবে শেখা যায় এবং মানব কল্যানে কিভাবে ব্যবহার করা যায় তাতে সহযোগীতা করবে।কৃত্রিম মেধা পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পেশাগত ভাবে বিভিন্ন বিষয়ের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু তারই সঙ্গে খানিকটা আশঙ্কার মেঘ জমছে। বলা যায় কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তাই বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।” “এআই চ্যাম্প ইন্ডিয়া’ সংস্থাটি সিটি কলেজে আগামী ২৭ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত এই বিশেষ প্রশিক্ষণ চালাবেন। আগামী দিনে বরও বিভিন্ন কলেজে কিভাবে এআই পড়ানো হবে তাঁর বিশেষবএকটা রূপরেখা তৈরি করা হবে।