এবার স্কুলজীবনের প্রথম ধাপেই সামরিক প্রশিক্ষণ। দেশভক্তি, নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে এই পাঠ দেওয়া হবে দেশের এক রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুঠাম ও সুন্দর হবে বলে মত শিক্ষকমহলের একাংশের।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
প্রথম শ্রেণি থেকেই শিশুদের দেওয়া হবে সামরিক প্রশিক্ষণ। নিয়মানুবর্তিতা, দেশভক্তি ও শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দেশের মধ্যে প্রথমবার এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল একটি রাজ্য, মহারাষ্ট্র। অপারেশন সিঁদুরের পর শিশুদের মধ্যে দেশভক্তি জাগাতেই এতবড় পদক্ষেপ গ্রহন করল মহারাষ্ট্র সরকার। এই প্রশিক্ষণ দেবেন দেশের প্রাক্তন সেনাকর্মকর্তা।
ভারতের মধ্যে প্রথমবার কোনও রাজ্য এই পদক্ষেপ গ্রহন করল। মহারাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী দাদা ভুঁসে বলেছেন, “রাজ্য সরকারের লক্ষ্য প্রথম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শৃঙ্খলাবোধ ও দেশপ্রেমের অনুভূতি বৃদ্ধি করা। এ প্রশিক্ষণ চালু করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলবে, যা তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে কাজে লাগবে।” অর্থাৎ ছোট থেকেই শিশুদের মধ্যে শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম এবং নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে উঠবে। যা তাদের ভবিষ্যতকে আরো সুন্দর করে তুলবে।
শিক্ষামন্ত্রী দাদা ভুঁসে আরও বলেন, ”স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকেই পড়ুয়াদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা ও তাদের শৃঙ্খলাপরায়ণ করতে পড়ুয়াদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এর জন্য দেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকদের সাহায্য নেওয়া হবে। ” এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের এই প্রশিক্ষণে যাতে কোনও খামতি না থাকে তার জন্য প্রশিক্ষক হিসেবে রাখা হবে ক্রীড়া শিক্ষক, এনসিসি, এবং আড়াই লক্ষ প্রাক্তন সেনা কর্মীকে। যারা শিশুদের সামরিক প্রশিক্ষণের পাঠ দেবেন। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীও এবিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহ। তিনিও চান দ্রুততার সঙ্গে স্কুলে প্রাথমিক বিভাগে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক।
এই নতুন উদ্যোগ মহারাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারেন বলে মত শিক্ষকমহলের একাংশের। পাশাপাশি স্কুল জীবন থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম যেমন বাড়বে তেমনই শৃঙ্খলা ও শারীরিক সক্ষমতাও বাড়বে। অন্যান্য রাজ্যেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মত শিক্ষকমহলের একাংশের।