টসে জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাঞ্জাব ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আয়ার। একটা সময় পর্যন্ত পাঞ্জাব বোলারদের আঁটোসাঁটো লাইন ও লেন্থ বোলিং এর সামনে রান তোলার গতি তেমন বাড়াতে পারেনি আরসিসি। পাওয়ার প্লে তে ছয় ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ওঠে মাত্র ৫৫ রান।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই বিপজ্জনক হতে চলা ফিল সল্টকে ফিরিয়ে দেন পাঞ্জাব বোলার কাইল জেমিসন। সল্ট দুটো চার ও একটা ছয়ের সাহায্যে ৯ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান। এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ৬.২ ওভারে ১৮ বলে ২৪ রান করে ফেরেন তিনি। আগরওয়ালকে ফেরান চহাল। এরপর আরসিবি ক্যাপ্টেন রজত পতিদার ১৬ বলে ২৬ রান করে জেমিসনের দ্বিতীয় শিকার হন। তখনও একদিকে ধরে খেলছিলেন বিরাট। সেই সময় আরসিবির রান ওঠার গতি ছিলো গতানুগতিক। ১০০ রান পার করতে করতে ১১.৩ ওভার হয়ে যায়, যা আহমেদাবাদের মতো মাঠের ক্ষেত্রে ও ফাইনাল ম্যাচের হিসাবে অনেকটাই কম।
রান বাড়ানোর চক্করে সবচেয়ে বড় উইকেটটা দিয়ে বসে আরসিবি। সবে হাত খুলতে শুরু করা বিরাট কোহলি কে আউট করেন আফগান বোলার ওমরজাই। নিজের বলেই ঝাঁপিয়ে দুরন্ত ক্যাচ নেন তিনি। ফাইনাল ম্যাচে কোহলির অবদান ৩৫ বলে ৪৩ রান। মাত্র তিনটে চার মারেন কোহলি, কোনো ছয় মারতে পারেন নি।
কোহলি আউট হওয়ার পর লিয়াম লিভিংস্টোন ও জীতেশ শর্মা হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। লিভিংস্টোন ১৫ বলে ২৫ ও জীতেশ শর্মা ১০ বলে ২৪ রান করেন। শর্মা ও লিভিংস্টোন যখন ব্যাট করছিলেন তখন মনে হচ্ছিলো আরসিবি হয়তো ২০০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলবে। কিন্তু ফের চেপে ধরেন পাঞ্জাবের বোলাররা। একদিকে আরসিবি-র ব্যাটসম্যানরা চালিয়ে খেলতে থাকেন, আর সেই সঙ্গে সঙ্গে উইকেট ও হারাতে থাকেন। মাত্র ২৩ রানে তারা হারায় পাঁচ উইকেট। শেষ ওভারে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং মাত্র তিন রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরান পাঞ্জাব কে। এখন দেখার যে আরসিবি ১৯০ রান কে ডিফেন্ড করতে পারে, না কি গতবছরের মতো এ বছরেও শ্রেয়স আয়ারের হাতেই ওঠে আইপিএল ট্রফি।