বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি বাড়িতে বসানো হয়েছে ট্যাপ কল। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে রিজার্ভার ট্যাঙ্ক। মাঝে রয়েছে একটি রেললাইন, ফলে রিজার্ভার থেকে বাড়ির ট্যাপ কলে দশ বছরেও জল পৌঁছালো না। ঘটনাটি বিষ্ণুপুরের।
মিলন কর্মকার, বাঁকুড়া- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম স্বপ্নের প্রকল্প হল ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প। রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প। তবে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার অনেক আগেই পুরসভা বা শহর কেন্দ্রিক প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিলো। কিন্তু বিষ্ণুপুর পুরসভা এলাকার ৫ টি ওয়ার্ডের মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগ রেলওয়ের অসহযোগিতার কারণেই তাদের এই দুর্ভোগ।
বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর পুরসভার ৮,১০,১২,১৬ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটা বড় অংশের মানুষের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৩ থেকে ১৪ বছর আগে ট্যাপ কল বসানো হয়। বছর দশ বারো আগে তৈরি হয় রিজার্ভার। বিষ্ণুপুর পুরসভা সূত্রে খবর, তন্ময় পল্লী সংলগ্ন হিমঘরের কাছে একটি রিজার্ভার তৈরি করা হয়। এই রিজার্ভারটি বিষ্ণুপুর-ময়নাপুর রেল লাইনের দক্ষিণ দিকে রয়েছে। ফলে রিজার্ভার থেকে এই ওয়ার্ডগুলোতে জল সরবরাহ করতে গেলে রেললাইনের নিচ দিয়ে পাইপলাইন নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে রেলওয়ের অনুমতি প্রয়োজন।
বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামীর অভিযোগ,” রেলের অনুমতির জন্য বার বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় অর্থও। কিন্তু রেলের থেকে কোনো সদর্থক সাড়া এখনও পাওয়া যায় নি।” তাঁর আরও অভিযোগ, “দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে একবার পরিদর্শন করে গেছে। ব্যস, ওই পর্যন্ত। শুধুমাত্র রেলের উদাসীনতার কারণে বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।” এদিকে স্থানীয়দের দাবি রেল ও পুরসভা একসঙ্গে বসে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিক।