পুরনো চাকরিতেই ফিরতে চান চাকরিহারারা। সূত্রের খবর, পুরনো চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদনের সংখ্যা হাজারের গোণ্ডি চাড়িয়েছে। শিক্ষা দফতর এইমধ্যেই নথিপত্র খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বলপ জানা গেছে।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেল বাতিল হয়েছে। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। চাকরি ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে তারা শামিল হয়েছেন। কোনমতেই পুনরায় তারা পরীক্ষায় বসতে চান না। এদের মধ্যে বহু এমন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছে যারা আগেও সরকারি চাকরি করতেন। সেই চাকরি ছেড়ে এসে তাঁরা ২০১৬ সালের এসএসসি-র এসএলএসটি প্যানেলে চাকরি পান। কিন্তু বর্তমানে সেই প্যানেল বাতিল হওয়ায় তাঁরা চাকরিহারা। যদিও শীর্ষ আদালত চাকরিহারাদের পুরনো পদে ফিরে যাওয়ার সুযোগও দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের ‘সার্ভিস ব্রেক’ হবে না। তবে, সেই সমস্ত শিক্ষকদের পুরনো পদে বহাল রাখার প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলেও জানায় আদালত। এই মর্মে নতুন করে নিয়োগের পথে না গিয়ে পুরনো সরকারি চাকরির উপরই ভরসা রাখছেন হাজার হাজার চাকরিহারা। সূত্রের খবর, পুরনো চাকরি ফিরে ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন পত্রও হাজারের গণ্ডি চাড়িয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, যারা আজ চাকরিহারা তাঁরা ২০১৬ প্যানেলে চাকরিতে বসার আগে প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক বা মাদ্রাসায় বা অন্য কোনও সরকারি দফতরের বিভিন্ন পদে চাকরি করতেন। ৩রা এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের রায় ঘোষণা করা হয় তখনই এটাও জানানো হয় যে সমস্ত চাকরিহারারা পুরনো কোনও পদে চাকরি করতেন তারা চাইলে পুরনো চাকরিতে ফিরে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের ‘সার্ভিস ব্রেক’ হবে না। তবে, সেই সমস্ত শিক্ষকদের পুরনো পদে বহাল রাখার প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলেও জানায় আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই পুরনো চাকরি ফিরে পাওয়ার আবেদন করতে শুরু করবেন চাকরিহারাদের একাংশ। সেই আবেদনপত্র ও তাঁদের সমস্ত ডকুমেন্টস খতিয়ে দেখছে শিক্ষা দফতর বলে জানা গেছে। শিক্ষকমহলে একাংশের বক্তব্য, আবেদনকারীদের কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে পুরনো জায়গায় পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। যদিও ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত চাকরি যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা স্ব-সম্মানে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের অনড় রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে একই চাকরির জন্য পুনরায় পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারারা। তাই সেন্ট্রাল পার্কের সামনে রোটেশন করে চলছে চাকরিহারাদের আন্দোলন।