মৌসুমী সাহা, সাংবাদিক- প্রজনন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমে গেলে মাসিকের স্থায়ী সমাপ্তি ঘটে। টানা ১২ মাস মাসিক না হলে তা মেনোপজের লক্ষণ। মেনোপোজ কখনও সময়ে আবার কখনও অকালে হয়ে থাকে। ৫০ ঊর্ধ্ব মহিলাদের মেনোপোজ হওয়া স্বাভাবিক তবে কখনো কখনো ৪০ এর আগেই হয়ে যায় মেনোপোজ। আর ইদানিং খুব তাড়াতাড়ি মেনোপোজ এর প্রবণতা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মানসিক চাপ ,ধূমপান, অটো ইমিউন রোগ এবং অন্যান্য রোগের ফলে ৪০ বছর বয়সের আগে মেনোপজ খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে।
ঋতুচক্রের ফলে শরীরে হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রিত হয়।কিন্তু মেনোপজের কারণে হরমোন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়।ফলত শুধু শারীরিক নয় মানসিক অস্থিরতা দেখা যায়। মেনোপজ এর সময়ে মনোযোগ করতে সমস্যা হয়, নিঃশ্বাসের পরিবর্তন হয় এবং ডিপ্রেশন দেখা যায়। অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমনকি হৃদরোগের ঝুটিও বাড়াতে পারে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন এর কারণে মহিলাদের হিট ফ্ল্যাশ এর মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এই সময় বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই প্রয়োজন। ১.ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি ,ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাদ্য এ সময় নানান ভিটামিন এর ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। ২. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম হাটা যোগ ব্যায়াম ইত্যাদি এই সময়টাকে বিষন্নতা ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ৩. ধূমপান অ্যালকোহল গ্রহণ এগুলো যা এড়িয়ে চললে মেজাজের পরিবর্তণ এবং ঘুমের ব্যাঘাত কমাতে সাহায্য করে। ৪. এই সময় একাকিত্বের মত একটা সমস্যা ও দেখা যায়। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো, নিজের পছন্দসই কিছু কাজ করা এই একাকিত্বের অনুভূতি দূর করতে সাহায্য করে। ৫. মেডিটেশন , মানসিক পরিবর্তনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর তারপরেও এমন অনেকেই যাদের চরম মানসিক সমস্যা তৈরি হয় ,যেমন মেজাজ পরিবর্তন তখন মেজাজ স্থিতিশীল করতে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মতো কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে।।