ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- চলেছে রাজ্য বিধানসভার শেষ বাদল অধিবেশন। ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচন। বাদল অধিবেশনে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য গঠিত ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটি কমিশনের ভুমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিধানসভায় তিনি অভিযোগ করেন, মুসলিম সম্প্রদায় ছাড়া অন্যান্য যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রয়েছে যেমন খ্রিষ্টান, পার্সি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য সরকার কি উন্নয়ন করেছে, তিন বছর কেটে গেলেও তার সদুত্তর সরকারের বা West Bengal minority commissioner কাছে পাওয়া যায় নি।
শুক্রবার রাজ্য বিধানসভার বাইরে পশ্চিমবঙ্গ মাইনরিটি কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন এরাজ যে মাইনরিটি কমিশন মুসলিম ছাড়া, খ্রিস্টান পারছি সহ অন্যান্য সম্প্রদায় মহিলাদের জন্য কোনরকম কোন উন্নয়ন কাজ করেনি।
মাইনরিটি কমিশন আদতে উৎসবের সময় তাদের দেখতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার লাগানো হয়। সারা বছর কাগুজে বাঘ থাকে মাইনরিটি কমিশন। পাশাপাশি তিনি এদিন আরো জানিয়েছেন মাইনরিটি কমিশন আদতে কি? সারা বছর তাদের ভূমিকাই বাকি থাকে? ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান সদস্য সংখ্যা ছিল এক সেটা বাড়িয়ে দুই করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিধানসভায় বিল পাস হয়েছিল বর্তমানে আইনের পরিণত হয়েছে। সারা রাজ্যে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে বলেও অভিযোগ করে না নওশাদ সিদ্দিকী।
পাশাপাশি তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন, জেলে পা যাতে মৃত্যু হচ্ছে, অন্যায় ভাবে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কখনো বা ধর্মের নামে জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে এক্ষেত্রে রাজ্যের মাইনোরিটি কমিশনের ভূমিকা কি, কি বা তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন? সন্দেশখালীর ঘটনা উত্থাপন করেন নওশাদ। তিনি অভিযোগ করেছেন শিখ সম্প্রদায়ের একজন পুলিশ আধিকারিককে বিজেপির পক্ষ থেকে অপমান করা হয়েছিল। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছিল? বলেও এদিন অভিযোগ করেন তিনি।