শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই নতুনগঞ্জ এলাকায় বিজেপি কার্যালয়ের আশপাশে নজরদারিতে ছিল সাদা পোশাকের পুলিশ। এরপর রাত গভীর হতেই আচমকা চলে আসে বিশাল বাহিনী। বিজেপির কর্মীরা যখন বিষয়টি জানতে পারেন, তখনই স্থানীয়রা দল বেঁধে ছুটে যান কার্যালয়ের দিকে।
মিলন কর্মকার, সাংবাদিক, বাঁকুড়া- গভীর রাতে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে তালা ভেঙে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় রাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদে রাতেই জেলা কার্যালয়ে ছুটে আসেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা এবং শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ।
জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে, অর্থাৎ রাত প্রায় ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়া শহরের নতুনগঞ্জে অবস্থিত বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। অভিযোগ, কোনো রকম আগাম তথ্য বা অনুমতি ছাড়াই সাদা পোশাকে বিশাল পুলিশবাহিনী হানা দেয় কার্যালয়ে। ভেঙে ফেলা হয় মূল ফটকের তালা। এরপরই চলে তাণ্ডব। দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলেই দাবি বিজেপির।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই নতুনগঞ্জ এলাকায় বিজেপি কার্যালয়ের আশপাশে নজরদারিতে ছিল সাদা পোশাকের পুলিশ। এরপর রাত গভীর হতেই আচমকা চলে আসে বিশাল বাহিনী। বিজেপির কর্মীরা যখন বিষয়টি জানতে পারেন, তখনই স্থানীয়রা দল বেঁধে ছুটে যান কার্যালয়ের দিকে। কর্মীদের জমায়েত হতেই এলাকা থেকে সরে যায় পুলিশবাহিনী।
ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই বিজেপি নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও ধরনের নোটিস বা তল্লাশির কারণ না দেখিয়েই এই হামলা চালিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেন, গণতান্ত্রিক পরিসরে বিরোধী দলের উপর এই ধরণের আচরণ অগ্রহণযোগ্য।
ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দলের একাংশের দাবি, শুক্রবার রাতে খাতড়ায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডির উপর যে হামলা হয়েছিল, সেই ঘটনার তদন্তে অভিযুক্তদের খোঁজ করতেই পুলিশ বিজেপির জেলা কার্যালয়ে তল্লাশি চালায়। তবে পুলিশ এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ঘটনার জেরে আজ, শনিবার বাঁকুড়া শহরে বড়সড় আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর প্রশাসনও।
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ধরনের আচরণ পুলিশের শপথবাক্য ও সংবিধানের পরিপন্থী। দ্রুত ঘটনার তদন্ত ও দোষী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নিলে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে গেরুয়া শিবির।