প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের পুনর্মূল্যায়ন তথা স্ক্রুটিনি ও রিভিউ-এর ফল। ৪৭ দিনের মাথায় এই ফল প্রকাশিত হল। রিভিউ ও স্ক্রুটিনি-এর ফলে ব্যাপক পরিবর্তন। মেধাতালিকাতেও বদল।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
২মে প্রকাশিত হয় চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফল। নম্বর নিয়ে অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীরা রিভিউ ও স্ক্রুটিনি -র জন্য আবেদন জানায়। ৪৭ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হল। রিভিউ ও স্ক্রুটিনি -র ফলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। মেধাতালিকাতেও হয়েছে বদল। স্ক্রুটিনি-তে ১০হাজার ৬০ জনের নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। আর রিভিউ-তে ১হাজার ১৮২ জনের নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। মেধাতালিকাতে হয়েছে পরিবর্তন। ৬৬ জনের পরিবর্তে মেধাতালিকায় স্থানগ্রহনকারী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৭৫ জন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানান, “আজ পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে পোস্ট পাবলিকেশন স্কুটিনি এবং রিভিউ রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে ২০২৫ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের উপরে। সফল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১০,০৬০ জনের প্রাপ্ত নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে।
অসফল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১,১৮২ জনের নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে।এক থেকে দশ শীর্ষ স্থানাধিকারীর সংখ্যা ৬৬ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ৭৫ হয়েছে।”
মেধাতালিকায় যে পরিবর্তনগুলি হয়েছে সেগুলি হল, পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতীক মান্না প্রথমে মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকলেও নম্বর বৃদ্ধি পেয়ে সুপ্রতীক দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। মালদহের সৃজন প্রামাণিক এবং বাঁকুড়ার সৌপ্তিক মুখোপাধ্যায় অষ্টম স্থান থেকে সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়া নম্বর বেড়েছে দেবজিৎ লাহা, অন্তরীপ মাইতি, চয়ন রায়,রূপম দীক্ষিত, অনন্যা মজুমদার, প্রজ্ঞান দেবনাথ, সায়নদীপ ঘোষ, সোহম করণ এবং প্রেরণা বৈদ্যের। নম্বর বাড়ার ফলে মেধাতালিকায় যুক্ত হয়েছে এই কৃতিদের নাম। মেধাতালিকার অষ্টম, নবম এবং দশম স্থানে কৃতীদের নাম সংযুক্ত হয়েছে। যার ফলে মেধাতালিকায় ৬৬ জনের বদলে ৭৫ জন স্থানাধিকারি হল।
পিপিএস, পিপিআর এর মাধ্যমে নম্বর পরিবর্তন হওয়া পরীক্ষার্থীদের নতুন মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পুরনো নম্বরের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট সাত দিনের মধ্যে পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসে জমা দিয়ে সংশোধিত মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিতে হবে।
চলতি বছর মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে ২ মে।এবছর পরীক্ষায় বসেন ৯,৬৯,৪২৫ জন পরীক্ষার্থী। গতবারের তুলনায় ৫৬ হাজার ৮২৭ জন বেশি। পাশ করেছে ৯,১৩,৮৮১ জন। গত বছরের তুলনায় এই বছর পাশের হার বেশি। এবার পাশের হার ৮৬. ৫৬ শতাংশ। গতবার ছিল পাশের হার ৮৬. ৩১%। পাশের হারে প্রতিবছরের মতো এই বছরও এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুর ৯৬. ৪৬, দ্বিতীয় কালিম্পং পাশের হার ৯৬.৪৬ শতাংশ। কলকাতা তৃতীয়, পাশের হার ৯২.৩০শতাংশ। কয়েকবছর ধরে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি।