১৬ জুন থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি আয়োজিত শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসার আবেদন প্রক্রিয়া। পোর্টাল খুলতেই আবেদনের হিড়িক! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন,”আবেদন শুরু হয়েছে। আমার কাছে যা খবর তাতে জানা গিয়েছে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে ইতিমধ্যে।” তবে এই পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারারা। হকের চাকরি ফিরে পেতে চলছে তাদের আন্দোলন।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
পোর্টাল খুলতেই এসএসসি আয়োজিত শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসার আবেদনে হিড়িক। এসএসসি সূত্রের খবর, এখনই ১০ হাজার ছাড়িয়েছে আবেদনকারীর সংখ্যা। তবে নতুন করে পরীক্ষায় না বসার সিদ্ধান্তে অনড় চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটা বড় অংশ। তবে চাকরিহারাদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বার্তা ‘‘কোর্টের নির্দেশ মেনে পরীক্ষাতে বসুন।’’ সেই আবেদন শুনতে নারাজ চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি ২২লক্ষ মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। যোগ্য- অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করতে হবে পাশাপাশি চাকরিহারাদের স্বসম্মানে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। এই দাবিগুলিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে সামিল চাকরিহারারা। তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন,”আবেদন শুরু হয়েছে। আমার কাছে যা খবর তাতে জানা গিয়েছে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে ইতিমধ্যে। যাঁরা পরীক্ষা দিতে চান না তাঁরা নিশ্চয়ই এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা এই পরীক্ষা নিচ্ছি সম্পূর্ণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আমি তাঁদের কাছে আবেদন করতে পারি এই ধরনের কোনও হঠকারী জায়গায় না গিয়ে, সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে সাড়া দিতে। রাজ্য সরকার ও এসএসসি আপনাদের সবরকম ভাবে সাহায্য করবে।’’
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সোমবার তথা ১৬ জুন পোর্টাল খোলার পর থেকেই পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন জমা পড়তে শুরু করেছে। তবে সোমবার থেকে চাকরিহারারা শিক্ষা দফতর ও এসএসসি-কে চিঠি দিয়ে জানান তাঁরা এই পরীজ্ষায় অংশগ্রহণ করবে না। সপ্তাহ জুড়ে তাঁদের এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান তাঁরা। পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে অনশনে বসেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের দশ জন প্রতিনিধি। আমরণ অনশন’-চলাকালীন প্রথম ১০ জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তারপর নতুন করে অন্য পাঁচ জন অনশনে বসেছেন।এদের মধ্যে এক জন দৃষ্টিহীন বিশেষ ভাবে সক্ষম ‘যোগ্য’ প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ সাহা তিনিও অনশনে বসেছেন।
অনশনকারীদের বক্তব্য, তাঁরা একই চাকরির জন্য ফের পরীক্ষায় বসবেনা। সরকারকে স্বসম্মানে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। আর এই দাবিতেই চলবে তাঁদের আন্দোলন।