সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- টানা তিন দিনের মধ্যে পরপর তিনটি যাত্রাবাহী বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ল। এর মধ্যে দু’টি ইন্ডিগো এবং একটি স্পাইসজেটের বিমান। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে লেহগামী ইন্ডিগোর একটি বিমান মাঝ আকাশ থেকেই ফিরিয়ে আনা হল দিল্লি বিমানবন্দরে। একইদিন হায়দ্রাবাদ-তিরুপতি স্পাইসজেট উড়ান মাঝপথ থেকে ফিরে আসে। এর আগে বুধবার রায়পুরগামী ইন্ডিগো বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দরজা খুলছিল না, যাত্রীরা প্রায় আধ ঘণ্টা আটকে ছিলেন বিমানের ভিতরে।
লেহগামী উড়ান মাঝ আকাশ থেকে ফিরল
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ইন্ডিগোর ৬ই ২০০৬ বিমানটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় লেহর উদ্দেশ্যে। সকাল ৭টা ৫০ নাগাদ লেহ পৌছনোর কথা থাকলেও মাঝপথেই বিমানটি ঘুরিয়ে আনা হয় দিল্লিতে।
সংস্থার দাবি, উড়ানের সময়ে কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই বিমানটিকে ফিরিয়ে আনা হয়। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে লেহ বিমানবন্দরে অবতরণে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, তাই বিকল্প বিমানে তাদের গন্তব্যে পাঠানো হয়।
রায়পুরগামী বিমানের দরজা খুলল না
এর আগে বুধবার দিল্লি থেকে ছত্তিসগড়ের রায়পুরগামী ইন্ডিগোর ৬ই ৬৩১২ নম্বর উড়ানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। বিমানটিতে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বঘেল। বিমানটি সুরক্ষিতভাবে অবতরণ করলেও সমস্যার মুখে পড়তে হয় অবতরণের পর। বিমানের দরজা খুলছিল না। প্রায় আধ ঘণ্টা বঘেলসহ সমস্ত যাত্রী ভিতরে আটকে পড়েন। পরে দরজা খোলার পর সবাই নিরাপদে বাইরে আসেন।
স্পাইসজেটের বিমান মাঝপথে ফিরল
বৃহস্পতিবারই তৃতীয় একটি ঘটনার খবর আসে হায়দ্রাবাদ থেকে। রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিরুপতির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল স্পাইসজেটের এসজি ২৬৯৬ নম্বর বিমান। কিন্তু ওড়ার কিছুক্ষণ পরই সেটিকে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ফিরিয়ে আনা হয় হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরে।
এই তিনটি ঘটনায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও একটানা এতগুলি বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ঘিরে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। বিশেষ করে একই সংস্থার বিমানে পরপর দুটি ঘটনার পরে ইন্ডিগোর রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়েই তাদের অগ্রাধিকার এবং নিয়ম মেনে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।