সাংবাদিক : সুচারু মিত্র
সকাল থেকেই বিরামহীন বৃষ্টি,তবু তার মধ্যেই শুরু হল কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন।নদীয়া জেলায় কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের দিকে নজর ছিল যুযুধান সব রাজনৈতিক পক্ষেরই।২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই উপনির্বাচন যেন অ্যাসিড টেস্ট শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিন্দু ভোট কতটা একত্রিত করতে পারলো বিজেপি সেটা দেখারও নির্বাচন ছিল এই নির্বাচন।সকাল থেকেই একাধিক ভুরিভুরি অভিযোগ করছিলেন কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ। কখনও ৫৬ নং , কখনও ২১ নং কখনও আবার ৭৯ নং। “একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্ট নেই” এই অভিযোগ করেছিলেন তিনি।আর ৫৬ নং বুথে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপির প্রার্থী। প্রিসাইডিং অফিসারকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্টকে এই ভাবে বসতে না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া যায় না। কমিশনের কাছে অভিযোগ করলেন। এরপর বেলা গড়াতেই তিনি পৌঁছলেন কালীগঞ্জের গোবরা অঞ্চলে,যেখানে আবার ভোটারদেরকে নিয়ে নদী পারাপার করতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেলেন রহস্য জনক ভাবে নৌকোর মাঝি।তবে ছোটখাটো কয়েকটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে বলে বলাই চলে।এবার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক শিবির গুলি। যদিও এর মাঝে বিতর্ক তৈরি করেন বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ। সম্ভাবত প্রার্থীদের প্রথম আঙ্গুলে লাগানো থাকে কালি। কিন্তু আশিস ঘোষ ভোট দিয়ে বেড়িয়ে আসার সময় তার মধ্যমাতে কালি দেখা যায়, আর সেই আঙ্গুলই তিনি প্রদর্শন করেন,যা নিয়ে স্থানীয় শাসকদল অভিযোগ করতে থাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে খারাপ ইঙ্গিত করে আশিস ঘোষ ঐ মধ্যমা আঙ্গুলেই কালি লাগিয়েছেন। তবে পরে এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর ‘ প্রথমে তো তাকে কালি দিতেই ভুলে গিয়েছিল কমিশনের আধিকারিকরা।তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করায় তার মধ্যমাতেই কালি দেয় কমিশনের আধিকারিকরা,আর সে কারণেই তিনি মধ্যমাই প্রদর্শন করেছেন, এমনই যুক্তি দেন বিজেপি প্রার্থী,তবে সব শেষে বলা যায় বৃষ্টিস্নাত দিনে শান্তিপূর্ণ ভাবেই সমাপ্ত হল কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন।