একদিকে দুই দেশের একে অন্যকে লাগাতার আক্রমণ এর পাশাপাশি ট্রাম্পের একের পর এক চাল। মনে করা হচ্ছে ইরানে বড়সড় হামলা করতে চলেছে আমেরিকা। আর এই বিষয় নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ হোয়াইট হাউসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে হামলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প।হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, “ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার একটা সম্ভাবনা রয়েছে, যা হতে পারে বা নাও হতে পারে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমি সিদ্ধান্ত নেব।”
ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা অস্ত্র ধরবে কি না, সেই বিষয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদিও এইকথা জানানো হয়েছে যে ইরানে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত আমেরিকা। এমনকি ট্রাম্প নাকি তেহেরানকে আক্রমণের পরিকল্পনায় গোপনে নাকি সায়ও দিয়ে ফেলেছিলেন কিন্তু হামলার চূড়ান্ত ছাড়পত্র তিনি দেননি। এমন কথা আগেই শোনা যাচ্ছিল। এবার এই দুই সপ্তাহের সময়সীমা নিয়ে পরিস্থিতি যেন আরও জটিল হল।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক হামলার আগে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য আরও দুই সপ্তাহ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসলে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার পথ এখনই বন্ধ করে দিতে চান না ট্রাম্প। কিন্তু তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিতে যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সায় নেই, তা আরও এক বার স্পষ্ট করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট কূটনৈতিক সমাধানই চান। তিনি শান্তিপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সেরা একজন। যদি কূটনৈতিক সমাধানের কোনও পথ থাকে, অবশ্যই প্রেসিডেন্ট সেই পথ ধরে হাঁটবেন।” লেভিটের কথায়,”প্রেসিডেন্ট সব সময়ই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী। তিনি শান্তিরক্ষার মূল কাণ্ডারী। যদি এক্ষেত্রে কূটনৈতিক পথে সমস্যা মাধানের সুযোগ থাকে উনি সেটা নিতে প্রস্তুত। কিন্তু প্রয়োজন পড়লে বলপ্রয়োগ করতেও উনি ভীত নন।”
গত বুধবার ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইজরায়েলের হামলায় যোগদানের বিকল্প নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করছেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ওই হামলায় আমেরিকা যোগ দিতে পারে আবার নাও পারে। তবে পরমাণু চুক্তিতে সই না করে ইরান সমস্যার মধ্যে পড়েছে বলেও জানান তিনি। এই মুহূর্তের পরিস্থিতি বিচার করে মনে করা হচ্ছে আপাতত কয়েক দিন হয়ত ইরানের সঙ্গে আমেরিকা সংঘাতে জড়াচ্ছে না। এর আগে ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করার কথা বলে আলোচনায় বসার পথ কার্যত বন্ধ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণায় যে ভাবে একাধিক বার কূটনীতি এবং কূটনৈতিক সমাধানের মতো শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে আপাতত আলোচনার দরজা খুলে রাখছে ওয়াশিংটন।